সেকি! তুমি!! এসেছ কোথা হতে
এতকাল পরে,
তোমাদের মত বড় লোকেরা,
আসে কি মোদের ঘরে?
আমরা গরীব, আমরা কৃষাণ,
আমাদের নাই জাত।
আমরা কি ভাই তোমাদের মত
গড়েছি ইমারত।
ভাবতে আমার অবাক লাগে!
তুমি আমার ঘরে,
আমরা তো ভাই কবিতা পড়ি,
করুণ নরম স্বরে।
তোমাদের ডাক যেন গর্জন,
সিংহরা ভয় পায়,
আমাদের ডাক এতই ক্ষীণ,
বিড়াল নাহি পালায়।
ঘৃণা করেছিলে কবিতা পড়া,
করেছিলে মোরে হেলা,
সময় পেলেই শুরু করে দিতে
কম্পিউটারে খেলা।
তবু কেন তুমি ভাই এখানে?
আমার ভাঙ্গা ঘরে,
তোমার ঘরে গিয়াছি যখন,
হেলায় ঠেলেছ দুরে।
কবিতা লেখা পাগলের কাজ,
তুমিই না বলেছিলে।
সে তুমি আজ এখানে কেন?
এসেছ কোন ছলে।
--
সেকি! বল কি তুমি?
হারিয়েছ সব ধন!!
কিভাবে জানিলে? আজও বেঁচে আছে
আমার কবিতা মন।
হে-হে!! শুনে হাসি পাই,
মুড়ির ঠোঙ্গায়!
আমার কবিতা পড়েছ বিধায়,
আমারে খুঁজিতে চাও?
আফসোস লাগে! যেই তুমি শুধু,
করিতে বিলাস বাসনা।
সেই তুমি আজ মুড়ি ছাড়া
খাইতে কিছুই পাওনা।
আছে কি আমার! কবিতা ছাড়া,
যা দিব আজ তোমারে,
কি বল তুমি! চাওনা কিছু,
শুধু প্রণাম করিবে মোরে।
শুনে রাখ তুমি, আমারে নইকো
ভালবাস গরীবে।
ভাবিয়া দেখ গরিবেরে ছাড়া
সুখে থাক কিভাবে।
তোমার ঘরের ছোট কাজগুলো
কে করিত তারা ছাড়া।
এখন তুমি কাজের লাগি
ঘুরিবে পাড়া পাড়া।
সাধনা কর একদিন তুমি
নিজেও হইবে কবি,
শুণ্য জীবন পূর্ণ হবে
খুঁজিয়া পাইবে সবি।