ছোটবেলায় "পূর্বরাগ" পড়েছিলাম। কলেজে উমাদি পড়াতেন। সেই বিরহ বিষয়টাই একটু প্রাঞ্জল ভাবে তুলে ধরলাম।
পূর্বরাগ ১
"ফুলে ফুলে ভরা নিধুবন ছেড়ে,
চলেছে রাখাল রাজ,
চলে যায় ধীরে যমুনার পারে,
মথুরার পথে আজ।"
"আলুথালু বেশ অবিন্যস্ত কেশ,
পড়ে আছে ভূমে রাই,
অশ্রুতে ভরা অপলক চোখ,
কিছুতেই মন নাই।"
"অবিরল ধারা দুচোখেতে বয়ে,
ভিজল বনের মাটি,
ঠিক সেখানেই যেখানেতে ছিল,
সখার চরণ দুটি।"
"কেন চলে গেলে, সব কিছু ফেলে,
বল হে হৃদয়রাজ-
তোমায় ছাড়া তোমারই রাই,
নিঃস্ব যে হল আজ?"
"যে হৃদয় তারে বাঁধলে সবারে,
বিশ্ব জগৎ জুড়ে!
আমার জন্য সে মায়াটুকু কি,
নেই সে হৃদয় পুরে?"
"তবে কি সেসব, ছিল নাকি ছল?
শুধু ক্ষণিকের মোহ?
তাই আজ তুমি চলে গেলে দূরে,
এতটাই নিস্পৃহ?"
"কেমন করে ভুলে যাই বলো,
আমাদের এ নিধুবণ?
যেখানে এঁকেছিলে আমার ওষ্ঠে,
স্নেহমাখা চুম্বন।"
"বারে বারে চোখে আসে জল ভরে,
ঝাপসা দেখি যে চোখে।
হৃদয় বুঝিবা স্তব্ধ আজকে,
হারিয়েছি কথা মুখে।"
"ভালবাসার এই দিলে প্রতিদান
শত শত রাত জাগি!
মরণ কেনো যে হয়না আমার,
এতটাই হতভাগী?"
চোখ তার স্থির, মন অস্থির,
বয়ে চলে যায় বেলা,
ছিন্ন মালাতে সাক্ষী রইল,
নিধুবনে রাস খেলা।
✍️......দেবাশিস