হে যোদ্ধা, তোমায় দেখেছি রক্তাক্ত বিপ্লবে,
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে আনতে জয়।
দেখেছিলাম তোমায় চীন সীমান্তে মরণপণ যুদ্ধে,
নির্বাক যন্ত্রনায়, হেলায় জীবন করেছিলে ক্ষয়।
কিংবা প্রান দিয়ে অকাতরে, বিষণ্ণ কার্গিলে !
ভারতের আকাশে এনেছিলে, এক নতুন সূর্যোদয়।
বারে বারে তুমি ফিরে এসেছ আত্মোৎসর্গের জন্য,
কেবল আত্মসর্বস্ব হয়ে বেঁচে থাকার জন্য নয়।

দেখেছি তোমায় ভূমিকম্পের পর, ভুজের ধ্বংসস্তূপে,
অবিরাম সেবায় দিনরাত কাটিয়েছ অক্লেশ,
অথবা সুনামীতে, নিরাশ্রয় মানুষের ত্রাণে,
করে গেছ নীরব প্রাণপাত, নিজেকে করে নিঃশেষ,
শত্রু সীমান্তে যুদ্ধে, বুকভরে নিয়েছিলে বুলেটের ঝাঁক,
রক্তাক্ত হাত তুলে দেখিয়েছ বরাভয়,
বারে বারে ফিরে এসেছ আত্মোৎসর্গের জন্য হে যোদ্ধা,
কেবল আত্মসর্বস্ব হয়ে বেঁচে থাকার জন্য নয়।

হিমাঙ্কের অতল সীমার পরে সিয়াচেনে অতন্দ্র পাহারায়,
প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সাথে করে চলেছ সহবাস-
তারি মাঝে তোমার মুখের অমলিন হাসি,
দিয়ে যায় অনন্ত জীবনের আশ্বাস।
আবার দেখেছি তোমাকে, বিপর্যস্ত কেরালার দুর্দিনে,
নিরন্তর সেবার মাঝে মানুষের দুঃখকে করে জয়-
বারে বারে তুমি ফিরে এসেছ কেবল আত্মোৎসর্গের জন্য,
আত্মসর্বস্ব হয়ে বেঁচে থাকার জন্য নয়।

আরো একবার নির্নিমেষে দেখছি তোমাকে আজ,
মগ্ন রয়েছ নিদ্রাহীন ক্লেশহীন অবিশ্রান্ত লড়াইয়ে।
মহামারীর কালগ্রাস থেকে, ছিনিয়ে আনতে যতেক প্রাণ,
আরো একবার বুক চিতিয়ে আছ দাঁড়িয়ে,
সুউচ্চ হিমালয়ের মতো কঠিন পর্বতপ্রমান সংকল্পে,
তুমি আছো তাইতো আমরা আজও নিরাপদ নির্ভয়।
বারে বারে ফিরে এসেছ আত্মোৎসর্গের জন্য হে যোদ্ধা,
কেবল আত্মসর্বস্ব হয়ে বেঁচে থাকার জন্য নয়।

********************************