তখন আমি কোথাও নেই
তখন আমি নইতো কারো
চির কালের একলা আমি
বাউণ্ডুলের সাত-সতেরো!
ভালবাসার ভাল কথা
খুব পেয়েছি যখন পাবার
হারিয়ে গেছে কখন যে সব
খুঁজছি যখন পাইনি আবার।
কিছুতেই কিচ্ছু না সব
যাচ্ছে যখন দারুণ সময়
সমাজ বিধির চোক্ষে তখন
ছি!ছি! একি অনাসৃষ্টি 'বিষয়'!
এ পথ ঘুরে ও পথ ধরে
নানা মতের নানান কথা
মিললো দুটি অজানা প্রাণ
একটি ঘরে একটি কাঁথা!
অন্যরকম জীবন তখন
স্বপ্ন গুলোও অন্যরকম
বুনছে ছিঁড়ছে লাগছে ভাঙছে
বিচ্ছিরি সব ভিন্ন রকম!
উদাস দুপুর উদাস বিকেল
ভাবছি যখন পালাই পালাই
কেমন যে সব উল্টে গেলো
দিন গুনে দিন রাত্রী কাটাই।
অনেক দিনের অপেক্ষাতে
এলো যে সেই শুভ সে ক্ষন
কি যে মায়া মুখ খানি তোর
কান্না হাসি দেখছি ভীষণ ।
একটু হাসা একটু কাদা
একটুখানি হাতের নাচন
একটুখানি লাগলে ব্যথা
পরাণ মাঝে উথাল মাতন!
তোকে দেখেই সকাল দুপুর
দিন গড়িয়ে রাত্রি আসে
বুকের পরেই ঘুমিয়ে পড়িস
বুকের মাঝেই স্বপ্ন ভাসে ।
দিনে দিনে হাটতে শেখা
দিনে দিনে একটু বুলি
কোন ভাষাতে গল্প বলিস
ভেবে ভাঙি মাথার খুলি।
যেদিন প্রথম ডাকলি বাবা
জানি না কোন খেলার ছলে
অজান্তেই ফেললি বেধে
সংসারে এক বাউণ্ডুলে!
সেদিন থেকে অন্য আমি
অন্য আমি অন্যরকম
অন্য জীবন কাঁদা-হাঁসা
মানছি কত না-না নিয়ম ।
দুঃখ গুলো ছাড়ে না যে
দুঃখ গুলো মানিয়ে চলিস
সুখ যদি পাস একটুখানি
সবার সাথে ভাগ করে নিস ।
সব বাবারই গল্প এমন
সব বাবাই সমান বাবা
দুঃখ যদি ছোয় কখনো
সব বাবারই ভাঙে কাবা ।