পায়ে চলার পথে প্রায় রোজই হয় দেখা;
দু-এক বার দেখেছি আড়চোখে।
একাকী প্রতীক্ষায় সে, বিষণ্ন সুখের!
খুঁটে খুঁটে জমা ক’রে জীবনের হিসেব-নিকেশ।
হয়তো বা এরই মাঝে খুঁজে ফেরে-
বিগত যৌবনের ফেলে আসা উষ্ণ-আবেশ।
দ্রুত পায়ে হেঁটে যাই আমার শহরে।
পথে প’ড়ে থাকে ডানাভাঙা বুড়ো প্রজাপতি,
ঝরে-পড়া বকুল কৃষ্ণচূড়া ও অমলতাস।
সাবধানে পার হই বাঁচিয়ে ওঁদের;
থাক না! ঘুমোক না হয় আরও কিছুক্ষন!
রোদে পোড়া ধূলোর বিছানায়।
জীবন ছুটতে থাকে ঋতু অভ্যাসে;
তবুও আছে সে একা, হয়ে সঙ্গীহীন।
জানে না হয়তো তাঁর ‘অপয়া’ উপাধি;
আজও একা দেখা দিয়ে নষ্ট করে দিন।
জোড় ভেঙে ঘুরে চলা একলা শালিক;
একা একা পাক খেয়ে কুড়ায় বদনাম।
হয়তো সঙ্গী তাঁর গিয়েছিল ভেসে;
হয়তো বা উড়ে গেছে দূর সীমানায়-
বেঁধেছে নতুন ঘর স্নিগ্ধ মধুমাসে!
তবু আজও ঘুরে মরে ‘বিরহী’ সে সাথী।
ডানা মেলে হাত়্ড়ায় মিথ্যে দোসর।
জ্বালাবে নতুন নীড়ে জোনাকির বাতি।
(রূপকলা কেন্দ্রের বাইরে প্রায় রোজই দেখা হওয়া, সেই একটি শালিকের জন্য)