হে অনিন্দ্য, হে পুষ্পিত, হে মহা সুন্দর!
হে প্রিয়জন! তোমার তরে ব্যাকুল এ অন্তর।
হে মুহাম্মদ (সাঃ) ভালোবাসি মহান প্রভুর পরে,
তোমার ভালোবাসার গন্ধে ফুলেল জীবন গড়ে।
শিশুকাল থেকেই তুমি ছিলে পরিস্ফুটিত ফুল
তব আগমনে মহা আলোড়ন আনন্দে হুলস্থুল।
মাটির মূর্তি ধরাশায়ী, নিভলো প্রজ্জ্বলিত আগুন
মরুর বুকে ফুটলো ফুল অতঃপর বসন্ত ফাগুন।
তুমি জগৎ মাঝে দিলে ওগো প্রভুর পরিচয়
তোমার আলোয় দেখলো বিশ্ব প্রেমী চক্ষুদ্বয়।
চিনতো না কোন পথিকে পথ তুমি দিলে দিশা
তুমি ঘুচিয়ে দিলে এই বিশ্ববাসীর চির হতাশা।
তুমি এলে এই ধরায় সর্বহারায় পেল যে মান্য
নারীর সম্মান দেওয়া শেখালে তুমি হলো সে ধন্য।
দাস-দাসীদের সাথে ব্যবহার কেমন করা চাই
হাতে কলমে শিখিয়ে দিলে সবকিছু তুমি তাই।
ভেঙে দিলে ওগো উঁচুনিচু বৈষম্যের পাহাড়
জাত-পাত কিংবা সাদা-কালোর সকল সমাচার।
মানবতার মহান শিক্ষক তুমি এই বিশ্ববাসীর নেতা
অস্ত্র না তো আচার বলে আনলে তুমি ফাতাহ।
হে মাদিনার কামলিওয়ালা তড়ানেওয়ালা,
প্রিয় তোমার সান্নিধ্যনূরে আসহাব সব উজালা।
তোমার দীপ্ত রৌশনি ঐ মক্কা আর মদিনায়,
সেই আলো ছড়িয়ে গেলো পুরো ধরার আঙিনায়।
বসুন্ধরায় পূর্ণ ছিলো জাহালতের কালো
তুমি আনলে ঐশী মশাল জ্বালিয়ে দিলে আলো।
কুরআন নাজিল তোমার পরে করলে তিলাওয়াত
দেখিয়ে দিলে জীবন জুড়ে পাথেয় জান্নাত।
নভোমণ্ডল-ভূমন্ডলে সেই জ্যোতির ছিটা,
সেই আলোতে আলোকিত প্রেমিকের হৃদভিটা।
তোমার জন্য তড়পে ওঠে প্রাণেরই অন্দর,
হে অনিন্দ্য, হে পুষ্পিত, হে মহা সুন্দর!
তারিখঃ ৩০/০৬/২০২২ইং
রাতঃ ১২:৩০ মিনিট।