(২১)সুযোগ হয়নি প্রিয়র সনে
দু’কদম হাটি ফের্ পড়ে যাই
গুনাহের কাদার মাঝে
তাওবাতে ধুয়ে-মুছে নিলেই
ফ্রেস লাগে তবে কী যে!
তাকওয়ার-ই পোশাক পড়িয়া
প্রিয়র তরে গো সাজি
সুন্নাহের সুবাস গাত্রে মাখিয়া
পৌঁছে যাব যে আজি!
চলিতে চলিতে আসিতে পারে
এই মনে কিঞ্চিত ভয়
ভালোবাসার জোয়ারে উজান
করিতে হইবে জয়।
পূর্বসূরিদেরই আলোর মশাল
পথ করে দেয় আলো
রাখলে সে বাতি সঙ্গে সর্বদা
নূরে পথ ঝলোমলো।
হাতে ছিল সে দিক-নির্দেশনা
বুঝিনি আমি তা ভালো
তাই তো সম্মুখীন আজ ভয়ে
সব যেন এলোমেলো।
দরকার ছিল অনেক বেশি'ই
এ পথে চলার দিক্ষা
তাইতো দুয়ারে ছুটি এ আশে
পাব হয় কিছু ভিক্ষা।
সম্বলহীন এক মুসাফির আমি
সফর বহু পথ বাকি
পথ-প্রান্ত সহজ হবে যদি গো
সহায় হন মোর সাকি।
দয়াদাক্ষিণ্য দানে হবে আমার
সকল ইচ্ছা-ই পূরণ
চাহিলে তিনি খোদ কোরবানি
খুশিতে করিব বরণ।
অভিলাষ মোর এমনটা ছিল
তাইতো আজ রওয়ানা
দেখিলে প্রিয়কে এ জীবনটা
দিবো এবার নজরানা।
সন্ধানে সেই যে মধুময় সুরার
ক্লান্তি যাহাতে কাটে,
পান করিতাম বিভোর হইতাম
যদি গো একটু জোটে।
এ সুরার পেয়ালা ছাড়া কভুও
থাকে না প্রাণ সচল
খানিকটা পথ চলিতে চলিতে
হয়ে যায় সে অচল।
দুর্বল বলে মাঝ পথে কী করে
বলো হে থামিয়া যাব
চলি না একটু পঙ্গু হলেও তার
খুশি তো কিছুটা পাব।
আ'হা কতদিনের স্বপ্ন -আশা
কত না চোখের পানি
বিনিদ্রীত কত রাত্র আমার'ই
কত -যে পেরেশানি!
কিছুদূর যাই এভাবেই চলিয়া
ভাবি মনজিল কাছে
প্রিয়কে কাছে পাইবো এখনি
আনন্দে হিয়া নাচে!
দুশমন মোর ভিতরে বাহিরে
নফস ও সয়তান মিলে
প্রিয়কে পাবার সরল পথটায়
ফাঁসায় নানান জালে।
ষড়রিপু আমার দেয় বাঁধিয়ে
বিরাট এক্সিডেন্ট
দেয় না থাকতে কভূ আমায়
স্থির এক সেকেন্ড।
নফস ও সয়তান রিপুর সঙ্গে
হরদমই চলে লড়াই
এভাবেই চলছি মনজিলে মম
দু-একটি পা বাড়াই।
এদের চক্র ও কঠিন ধোঁকায়
পথ আর হয়না পার
সুযোগ হয়নি প্রিয়র সনে তাই
আ'হা আজও মিলিবার
তারিখঃ ৩১/০৭/২০২১ইং
রাতঃ ০১:৩৫ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২২)সালাত পুঁজি
মহান প্রভুর মহান হুকুম
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত,
মহান প্রভু কী খুশি হন?
দেখলে বান্দার হালাত।
বান্দা যখন সালাত আদায়
করার জন্য দাড়ায়
মাওলা তখন হুকুম করেন
ঐ আসমানী পাড়ায়।
সালাতকারীর ঘরে আর যে
রয়না অভাব কষ্ট,
মহান আল্লাহ্ দেন সমৃদ্ধি
হয়না জীবন নষ্ট।
মৃত্যুর পরে পৌঁছায় যখন
আঁধার কবর ঘরে,
আজাব শাস্তি মাফ হয়ে যায়
সালাতকারীর তরে।
রোজ হাশরে আমলনামা
ডান হাতে তার আসে,
পুলসিরাত পার হবার কালে
সালাতকারী হাসে।
হিসাব-কিতাব হয়না সেদিন
সালাত পুঁজি ছিল,
মহান মাওলা খুশি হয়ে
জান্নাত দিয়ে দিল।
স্বরবৃত্ত ছন্দঃ ৪+৪+৪+২
তারিখঃ ০১/০৬/২০২২ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৩)সবচেয়ে মজার নাম
সবচেয়ে মজা এই জমিনে
আল্লাহ্ পাকের নামে,
পাইনা গো আমি এত মজা
আম, আনারস, জামে।
দিল খুলিয়া ডাকলে তারে
কতো যে মজা পাই,
এমন মজা দো-জাহানের
অন্য কোথাও নাই।
আল্লাহ্ আল্লাহ্ সুর ধরিয়া
ডাকি গো তারে খুবি
মাওলাকে কাছে পাইয়াগো
নূরের সাগরে ডুবি।
চোখের পানি আল্লাহ্ মজা
আরো বাড়িয়ে দেয়
প্রতিক্ষণে আল্লাহ্'র পানে
আমারে উড়িয়ে নেয়।
মাওলা প্রেমসুরার মজা গো
কাব্যে যায় না লেখা
বোঝে সেজন নসীব হয় যার
হৃদয়ে প্রেমের রেখা।
রুমী-জামীর অন্তর হলেই
পাপ কালিমা মুক্ত
আল্লাহ্ নামের আসল মজা
পাবে প্রতি ওয়াক্ত।
তাই হে বন্ধু! আসো সবাই
দিলকে এবার গড়ি
আল্লাহ্ আল্লাহ্ বলতে বলতে
উর্ধ্ব পানে সবে উড়ি।
তারিখঃ ২৭/০৭/২০২১ইং
সকালঃ ১১:০০ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৪)ছিঁড়ে সকল আগল
আমি আজ হয়েছি তোমার প্রেমে পাগল
তোমায় পাওয়ার মন্ত্র-তন্ত্র জপি অনর্গল।
নানা বাঁধা পার হয়ে আমি খুঁজবো মহল
দুশমনেরা বাড়ায় আমার পথে গন্ডগোল।
কবে থেকে শুধু প্রিয় মোদের এ রিলেশন
সেদিন হতে খুঁজি তোমায় করি আন্দোলন।
জীবন জুড়ে হাজার ব্যথার কাটা সইবো
তবুও প্রিয় তোমায় তোমায় না ছেড়ে রইবো।
তোমারই জন্য উজাড় হৃদয় তাজমহল।।
ফুলেরা হেসে ওঠে পাখিরা গেয়ে ওঠে
মন আমার ধুমছে নাচে সেই খুশির চোটে।
সূর্যের উঁকিঝুঁকি চাঁদের ঐ জোৎস্না মাখি
কত যে গন্ধ ভাসে কেবল সে গন্ধ শুঁকি।
শীতল ঐ বাতাস তোমার কত যে নির্মল।।
সুউচ্চ নীলিমারই পাহাড়ের সারি সারি
সবকিছু নিপুণ হাতে সৃজন তোমারি।
সাগরের ঢেউ তরঙ্গে শিহরণ জাগায় অঙ্গে
আঁখিযুগল আটকে যায় তোমার রঙ্গে-ঢঙ্গে।
মনে চায় ছুটে আসি ছিড়ে সকল আগল।।
তারিখঃ ২৩/০৫/২০২২ইং
রাতঃ ০৮:৪৫ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৫)ক্ষমার মাল্য
দেখতে দেখতে চলে গেল
রমজানের দিনগুলো
মুল্য দিল যাঁরা রমজানে
জীবন জুড়ে আলো।
এই রমজানের প্রতি মুহুর্ত
অমূল্য কতটা বেশি
আমলে মশগুল ভাগ্যবান
পুণ্য তার রাশিরাশি।
রমজানেরই শেষ দশকে
ক্বদর খোঁজা চাই
ধন্য হবে মঞ্জুর হবে সব
ক্বদর পেলে ভাই।
একুশ গেল তেইশ এলো
সামনে আছে কিছু
পঁচিশ, সাতাশ, উনত্রিশে
মস্তক করো নিচু।
হাত তুলে ঐ আসমানে
অশ্রুপুঞ্জ ঢল দিয়ে
ঈদগাহে পৌঁছে যেও গো
ক্ষমার মাল্য নিয়ে।
তারিখঃ ২৪/০৪/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭-১৮ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৬)প্রেমের পাঠশালা
হৃদয় আমার তাঁহার রূপে সত্যি পাগলপারা
এক মূহুর্ত ভাল লাগে না সেই প্রিয়কে ছাড়া।
কী বলিবো বন্ধু তোদের প্রেমের দহন জ্বালা
যাসনি তোরা দেখিসনি তো প্রেমী পাঠশালা।
হয়েছিনু বন্ধু যেদিন থেকে প্রেমালয়ের ছাত্র
সেদিন হতে প্রেম দহনে জ্বলছি দিবস-রাত্র!
এই জগতের রঙ-রূপ আমার সবই ভিন্নতর
শিক্ষা দানে সব ছাড়িয়া ঐ প্রিয়র রঙ্গ ধরো।
ভালোবাসা প্রেম সাগরেই আমার সব ডুবুক
পাঠশালাতে নিত্যকারে এটাই দিচ্ছে ছবক।
এখন চিনি সব অনিন্দ্য প্রেমিকের মাঠ-ঘাট
ধরিয়া আছে দেখি সব মহান প্রভুর চৌকাঠ।
তোমারই রূপের নেশায় বুদ সব দেওয়ানারা
এক মূহুর্ত ভাল লাগে না সেই প্রিয়কে ছাড়া।
তব রূপের আলোর ছিটা চোখে ধরা যায়না
তবুও তা প্রকাশ করে তপ্ত হৃদয়ের আয়না।
হৃদয়- ফ্রেমে আয়না সেট জলদি করে নাও
প্রেমিক হতে প্রেমশালাতে ভর্তি হয়েই যাও।
তারিখঃ২৬-০৪-২০২২ইং
বিকালঃ ০৪:২৬ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৭)তোমার পায়ের ধুলোয়
হে অনিন্দ্য! হে প্রিয়জন!
হে মহা সুন্দর!
তোমার তরে ব্যাকুল মোর
হৃদয়ের অন্দর।
হে অনুপম! হে অনিন্দ্য!
হে সেরা আতর!
মেশক্ হতে সুবাস ছিলে
তুমি অধিকতর।
হে সেরা ফুল! গন্ধ অতুল!
নেই তোমার উপমা
সকল সোভা প্রভু করেন
তোমার মাঝে জমা।
তোমায় হেরি লজ্জিত সব
জান্নাতের হুর-পরি
চন্দ্র-সূর্য আলোহীন লাগে
আলোহীন তোমারি!
হে মুহাম্মদ, হে আহমদ সাঃ!
ঐ প্রভুর প্রিয়জন
তোমার ভালোবাসায় প্রাণ
তড়পায় সারাক্ষণ।
হে মহা নভোচারী! সার্থক
আসমানী অভিযান
তোমার পায়ের ধুলোয় বাড়ে
আরশের সম্মান।
হে প্রেমাস্পদ! হে প্রিয়নবী
শীর্ষে তোমার আসন
তোমার হাতে হবে নিশ্চয়
জান্নাত উদ্বোধন।
তারিখঃ ৩০-০১-২০২২ইং
সকালঃ ১১:০০ মিনিট,
বনগ্রাম শিকদার মার্কেট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৮)হৃদয় নভে চন্দ্র-সূর্য
আসো গড়ি জীবন মোদের
ফুলের মতো করে,
উদিত হোক পূর্ণিমার শশী
হৃদ আকাশ জুড়ে।
ক্ষয়িষ্ণু এই জীবন মোদের
স্থায়িত্ব নেই যে তবু
জীবনদাতা দেখরে জালেম
কত যে দয়ালু প্রভু!
বিধৌত ও সমার্জিত কবে
মোরা জানি হইবো
মনুষ্যত্বের ওই শীর্ষ চূড়ায়
কবে যে চুড়িবো!
ঝাপটা মেরে স্রষ্টার পানে
কবে যে উড়িবো
কলঙ্কিত ও পাপিষ্ঠ পথটা
কবে যে ছাড়িবো!
শপথ নিবো কবেই মোরা
হইবো খাঁটি মানুষ
থাকবো চির অটুট বান্দা
রাখিয়া সেই হুস।
তায়াল্লুক মায়াল্লার ধনে
হবে কবে যে ধনী
কর্ম গুনে সন্তুষ্টি করবো
কবে কাদের গনী।
নিহারিকার আলোর প্রতি
এ নজর সরাইয়া
এই হৃদয় নভে চন্দ্র-সূর্যর
আলো মাখাইয়া।
দেখবো পুরো বিশ্বভূবন
নূরানী দু-চোখে
প্রিয়কে পুরিবো পেয়ারে
আমার দগ্ধ বুকে।
তারিখঃ ১৫/০৫/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:২২ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(২৯)জানতে চাইলে পরমতত্ত্ব
জ্ঞান গরিমায় ধরো তারে জ্ঞান গরিমায় ধরো
জানতে চাইলে পরমতত্ত্ব হে, আত্মশুদ্ধি করো!
খুঁজছো কোথায় রাখছো চক্ষু কেবল আধারে
আলোয় যাঁরা দেখছে তাঁরাই ফেলতেছে ধরে!
অন্ধত্বের পর্দায় আড়াল দেখছিনা তার কিছু
রুমী-জামীর সঙ্গাভাব তাই দেখি সব উঁচুনিচু।
চক্ষু রেখে কেবল চর্ম-ভাজে দিল করে কানা
তাই তো জ্ঞানশুন্য দেখে না আলোর নিশানা।
সেই ভেদ উন্মোচন হবেই পেলে রুমীর আঁখি
অগ্নিদগ্ধ উষ্ণ সরাব পান করাবেন তো সাকী।
পাপের আবর্জনায় ডুবে যে হবেনা তা অর্জন
ধরতে হবে সে ঐশী পাথেয় পাপ করে বর্জন!
নফসানি ও রিপু-পূজায়, দো-জাহান বদনাম
দাসত্ব ও গোলামীর সাওগাত আনবেই সুনাম।
পাপ-রাশি ত্যাগ করাই বন্ধু, তাসাউফের মূল
বাধ্য হয়ে থাকলেই ফোটে ভালোবাসার ফুল!
পাপ না ত্যাগ করলে পাবে না সে পরম বন্ধুত্ব
অন্ধত্ব কেটে গেলো যারই পায় সে প্রেম-তত্ত্ব!
বন্ধু, অনাচার ও পাপাচার ত্যাগেই মুক্তি ভাই
আলোকিত আত্মা হলেই খুশি হন মোর শাঁই!
হুকুমে পরমজনের গো নফ্সকে ঘায়েল কর
পদ্ধতি শিখতে বন্ধু আমার, রুমীর পথটি ধর!!
তারিখঃ ২৫-০৩-২০২২ইং
দুপুরঃ০১:৫৬ মিনিট।
শিবচর, মাদারীপুর।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩০)প্রেমময় পদ্যকানন
হৃদয়ে কাব্য রচিত হয় তোমার প্রেমজ্বালায়,
প্রেমের ভাষা রূপ নেয় গো নিত্য ছন্দমালায়।
মুখের ভাষা নয় গো ইহা গোপনেই দু-জনার,
প্রিয়র সনে নিরব টানে, কথা হয় যা আমার।
আড়ালে আড়ালে থেকেও কতো লেনাদেনা,
প্রিয়র তরে খুন ঝরাতে নেইতো কোন মানা।
ঝড় ও তুফানে অথৈ সাগর নিত্য দেই পাড়ি,
প্রেম জ্বলনে,প্রেমো ব্যাথায় রাএ-দিবস মরি।
প্রেমের সুর ছন্দ বাজে, প্রতি খুনের ফোটায়
কী'যে মাতাল সুর তোলে,মোর প্রানকোঠায়!
নেশায় বিভোর সাকী'র হাতের তপ্ত সুরাতে,
এভাবেই চাই রাএি কাটুক প্রেমিক পিঁড়িতে।
হিয়াঝিলে পদ্ম ফোটে তোমার ভালোবাসায়,
প্রেমের ফুলে হচ্ছে নিত্য হিয়া এক প্রেমালয়।
সুপ্ত ফুলের কলিযে ফোঁটে প্রভাতের ছোঁয়ায়,
সকালবেলা যে ফুল ফোটে,এযে সে ফুল নয়।
খূঁশবু ভারি তবু যে তা সব লোক পায়না টের,
ফুলেল হৃদয় হয়গো যার প্রিয়জনের প্রেমের।
নিমিশে ভীষণ প্রভাব ফেলে প্রতি মনের পর,
তাঁর ইশারাই প্রকাশিত হয় জীবনের চরাচর।
চোখ পরলে আকাশ পরে তাজাল্লী নূর হেরি,
দৃশ্যমান রূপই ছন্দ হয়ে করে প্রানে ঘুরাঘুরি।
সবুজের রূপ চুষিয়া এই নেশাময় দুই চোখে,
চোখ আমার দৃশ্যপট ঘেটে ছন্দমালা আঁকে।
আমি থাকিগো প্রেম জগতে থাকে মোর মন,
তোমার অনুগ্রহে হৃদয়টা প্রেমময় পদ্যকানন।
প্রান নদে জোয়ার আসতেই ঝড়ের আগমন,
উথাল পাথাল ঢেউ তরঙ্গ বুকে যে সারাক্ষণ।
তারিখঃ ০৩/১১/২০২১ইং
রাতঃ ০৮:০০মিনিট
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩১)মাওলাকে খুঁজিতে থাকিবো
ঘুম আসেনা গভীর রাতেও
কারো প্রেমে জাগি
প্রেমের ধন লুটেপুটে নেই
দুনিয়ার সব ত্যাগি।
সদাই নজর আরশ পাকে
মহান জাতের পানে
রাএি আমার ভোর হয়ে যায়
প্রিয় মাওলার ধ্যানে।
হৃদয়জুড়ে শুধুই মাওলা
প্রেম ফুটন্ত ফুল
নিশিজুড়ে থাকি ভিন্নরাজ্যে
নূরের হুলস্থুল।
তাহার নামেই সুখ খুঁজে পাই
আমার এই হৃদয়ে
ভালোবাসা ভরে ডাকতে থাকি
সর্বদা ভয়ে ভয়ে।
আসল ধনতো প্রিয় মাওলা
পেলে আমি মহাধনী
তিনি রাজি খুঁশি থাকলে
ঘুচবে সকল পেরেশানি।
তাহার খুঁশিতে জীবন দিলেই
পাবো জান্নাতী জীবন
হাজার জীবন হতে দামী
তাহার খুশিতে মরন।
তাইতো আমি সব পথ ছেড়ে
চলছি তাহার খোঁজে
বিন হুসাইনের কাছে গিয়ে
এসেছি সে পথ বুঝে।
তাওবার নহরে ধুয়ে নিজেকে
তাকওয়ার রঙে সেজে
মাওলাকে খুঁজিতে থাকিবো
রূমি জামীদের মাঝে।
তারিখঃ ২৭/০৭/২০২১ইং
রাতঃ ০১:৪০মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩২)সালাত আমার প্রিয়র সনে
সালাত আমার প্রিয়র সনে মধুর মিলনমেলা
সালাত প্রভুর প্রেমের সাগর নূরে তা উজালা।
সালাত সেতো ভিন্ন জাহান প্রিয়জনের সাথে
সালাত মাঝে প্রেমিকজনে প্রেমখেলায় মাতে।
সালাতে হয় প্রভূর সনে ডাইরেক্ট যোগাযোগ
সামনে আমার অনুভব হয় সত্বা সেই একক।
কোথায় খোঁজো ওহে প্রেমিক মহান প্রিয়কে
এসো হে সবাই সালাতে প্রভু ডাকে বান্দাকে।
দাড়ালে সালাতে আমি পড়লে সুরা ফাতিহা
প্রতি আয়াতের জবাব দেন মজা কত আহা!
পড়ে যখন প্রথম আয়াত গোলাম শেষঅব্দি
কী খুঁশি হন বলেন মালিক হামিদানি আ'ব্দি!
রুকু করি যখন আমি এই দেহটাকে ঝুঁকাই
কোর্বে হকের মহা সম্পদ মুক্ত কুড়িয়ে পাই।
সালাত আদায় করলে নিত্য দিল হয় জিন্দা
দিবস- রাএ ঘনিষ্ট হয় তার অধম এই বান্দা।
সিজদাহ্'র মাঝে কেবলই জালওয়াহ্ ভরপুর
তাকওয়াপূর্ণ সিজদাহ্ হলো ঐঁশী নূরের তূর।
নামাজের মত নামাজতো আমরা যে পারিনা
মাওলার খুঁশির মত এ জীবন কেনো গড়িনা।
হলে জীবন রূমির মতন আ'হা কী ভাল হতো
সালাত মেরাজ হতো ওহ্ দৈনিন্দ মোর কত!
তাই হে বন্ধু,আসো সবাই খাটি সালাত শিখি
প্রভু খুঁশির তাজাল্লী সবাই জীবনজুড়ে মাখি।
তারিখঃ ০৫/১১/২০২১ইং
রাতঃ ০৯:২০মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~(৩৩)মেলেছি দু'ডানা
ডুবে থাকতে চাই প্রেম সাগরে
সদাই থাকতে চাই রুমির নগরে,
এভাবেই থাকতে চাই সন্ধা ভোরে
বান্ধা থাকতে চাই প্রিয়র তরে।
জীবন কাটাতে চাই বন্দেগিতে
রাত কাটাতে চাই অশ্রু ঝরাতে,
হর্ মুহূর্ত কাটাতে চাই জিকিরেতে
অহর্নিশ কাটাতে চাই তার সাথে।
জাহান্নামের আগুন নিভানোর
কেমনে খুলবো জান্নাতেরই দোর,
ওই ফিকিরেই রাএি হয় ভোর
চাই গো সদা প্রভূ প্রেমের ডোর।
এই বিশ্বটাকে দেখি এক আয়না
প্রভুর নিদর্শন ছাড়া কিছু না,
কত সুন্দর সেই স্রষ্টা তাই না
তার খোঁজেই মেলেছি দু-ডানা।
তারিখঃ ১২/১০/২০২১ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩৪)তুমি আমার হও
আকাশে,বাতাসে,গোপনে,প্রকাশে
তোমাকে খুঁজিতে থাকি,
সারাক্ষণ শুধু আমার মনে
তোমাকে স্বরনে রাখি।
তুমি যে আমার বড়ই প্রিয়জন
কী করে ভুলে থাকি,
হৃদয়ের বাঁধন তোমার সাথেই
ওগো মহান সাকী।
স্বয়নে,স্বপনে,হৃদয় জবানে
তোমাকেই শুধু জপি,
পানাহ্ চাই গো দোযখ হতে
যে ভয়ে সদা কাপি।
তোমার দুয়ারে অশ্রু ঝড়াই
কাদি আমি চুপি চুপি,
হ্মমা চাই সব ভূলের জন্য
আমি যে বড় পাপী।
তুমি মহিয়ান,তুমি গরিয়ান
সব ভুল করো মাফি,
দো-জাহানে “তুমি আপন হও"
আমার জন্য কাফি
তারিখঃ ০৮/০৮/২০২০ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩৫)নৈকট্যের ফুল
আল্লাহ্ নামে কীযে সুখ আনে
করে দেখ জিকির এক ধ্যানে।
জিকিরকারীর দিল থাকে জিন্দা
সাথে যদি মেশে একটু কান্দা।
নূর সাগরে ডুববি প্রতিহ্মনে।।
ডাক দাও মন আল্লাহ্ বলিয়া
এ দুনিয়ার সব একটু ভুলিয়া।
আ'হা আল্লাহ কত যে মজা
যায় না বলা, যায় শুধু বোঝা।
এই মজা পাবে না কোনখানে।।
ডাকে যেজন তাকে মন ভরে
প্রেমের আগুন ছিনায় দেন তারে।
কোন রূমী পরশ পেলে ওই ছিনা
মাওলা করেন সেই দিলে আস্তানা।
নৈকট্যের ফুল ফোটে হৃদ-কাননে।।
আওলিয়ার মত বানালে এ দিল
আ'হা নূরে করে কীযে ঝিলমিল।
চারোদিকে তাজাল্লীর ছোঁয়ায়
অসীম নূর ও ঐশী জালওয়ায়।
দিলের বিকাশ হয়যে ক্ষনে ক্ষনে।।
তারিখঃ ২৭/০৭/২০২১ইং
রাতঃ ০২:৫৮ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩৬)হালকা নহে অতুল সাগর
এই দুনিয়ায় সবচেয়ে শান্তি
তোমার হয়ে থাকা
সত্যি আমার তোমায় বিনে
হৃদয় করে খা খা।
হে প্রিয়জন, খুঁজি তোমায়
চাহি আমার বুকে,
তোমায় পেলে হৃদয়ে আমার
থাকবো ভীষণ সুখে।
ভাল লাগে না তোমায় ছাড়া
আমার এ দুনিয়ায়
দয়ার জজবে আপন করে
নাও গো তুমি আমায়।
রূমী -জামীর পথ আমাকে
দাও তুমি দেখিয়ে
তাদের পথে তাদের মতে
চালাও দিবস রাতে।
জানি তোমার রূমীর ছিনায়
হয় যে বসবাস
সেই রুমীদের সঙ্গে আমার
করে দাও আবাস।
প্রেমের জ্বালা দাওগো ভীষণ
আমার বুকটা জুড়ে
প্রেম জ্বলনে জ্বলে পুড়ে
বাঁচি জীবন ভরে।
তোমার প্রেমের সামনে কী আর
স্বাধের কিছু আছে?
প্রেম বিহনে লাগে জীবন
সত্যিই আমার মিছে।
হে প্রিয়জন, হে মহাজন,
তোমার করে নাও
বুকটা তোমার ভালোবাসার
এক সাগর বানাও।
হালকা নহে অতুল সাগর
চাই যে আমার বুকে
ভীষণ ভালোবাসার হিম্মত
চাই প্রিয়, তোমাকে।
যতই খুঁজি এই দুনিয়ার
অতুল্য স্বাদ মজা
তোমার প্রেমে করবে আমায়
নৈকট্যের এক রাজা।
তারিখঃ ১৬/১১/২০২১ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩৭)স্বাদ পেয়েছি কিছু
খোঁজা খুঁজি করি প্রিয়
তোমায় নিত্য দিন।
কোন কিছু ভাল লাগে না
প্রিয় তুমি ভীন।
প্রিয় তোমার চিন্তা স্বরন
সবচেয়ে মজাদার।
তোমার পানে রিদয় ছোটে
হয়ে বেকারার।
তোমার তরে নামাজ প্রিয়
শান্তির ফোয়ারা।
রুকু সেজদার মজা পেয়ে
আমি দিশেহারা।
কতো শান্তি আনে প্রিয়
একেক ইবাদতে।
বন্ধুত্বের জেন্দেগীর মজা
পোলাও কোর্মা হতে।
সত্য সত্য বলছি আমি
কথা নয়তো মিছু।
ইবাদতের প্রতি হ্মেত্রে
স্বাদ পেয়েছি কিছু।
এ স্বাদ পেতে ছুটি সদা
আমি রাএ দিন।
কোন কিছু ভাল লাগে না
প্রিয় তুমি ভীন।
তারিখঃ১৮/০৫/২০২১ইং
রাতঃ ১১:২২ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~(৩৮)তোমায় ডেকে ডেকে
আল্লাহ্ আল্লাহ্ জিকির প্রানে
চলুক মোর হরদম।
আল্লাহ্ আল্লাহ্ বলতে বলতে
উঠুক সব কদম।
ডাকাডাকি চাইগো তোমার
শান্তি পেতে এ হৃদয়ে আমার।
হৃদয় সাজিয়ে ফুলেল প্রবাহে,
জীবন চালাবো খোদার রাহে।
আপন হও গো হে মহিয়ান
হও গো তুমি পরম।।
পেয়েছি কিছুতো ডাকের মজা
ব্রত শুধুই তোমাকেই খোঁজা।
তাইতো নামাজ তাইতো রোজা
তাকওয়ার এই রঙে সাজা।
তোমায় মাওলা ডেকে ডেকে
প্রিয় হব একদম।।
শোণিতের সব ফোঁটায় ফোঁটায়
হৃদয়ের সব কোঠায় কোঠায়।
আমার দেহের সর্বাঙ্গে,
যেন শুধু তোমায় মাঙ্গে।
তোমায় ডেকেই বের হয় যেন
আমার শেষের দম।।
তারিখঃ ০৪/০৬/২০২১ইং
সন্ধ্যাঃ ০৭:৫০ মিনিট।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৩৯)প্রেমেরই কাঙ্গাল
তোমার ভালোবাসা আমার এই জীবনের ধন
দাও যাহাকে একটু ফোটা হয় সে মহাজন।
এই জীবনে আমি তোমার প্রেমেরই কাঙ্গাল
তোমার তরে প্রান কাঁদে খুব পাইনাযে নাগাল।
জমিন থেকে তোমার পানে সদা মোর নজর
তোমায় পাওয়ার ব্যথায় অশ্রু ঝরে কী নির্ঝর।
রাতে আমার ঘুম আসেনা শুধুই তোমার তরে
নাও আমাকে কবুল করে আলিশান দপ্তরে।
সকল জীবন মধুময় হয় মাওলার খুশিঁতে
বান্ধা পরলে মহান আল্লাহ্'র প্রেমের রশিঁতে।
জিন্দেগী যার শেষ হয়ে যায় ভালোবাসিতে
দয়ার কোলে পৌঁছে যায় সে হাসিতে হাসিতে।
পিপাসু চোখ এই বুকেতে তুমি তৃষ্ণার জল
মহব্বত রয় যেই রিদয়ে চাঁদ হতে উজ্জ্বল।
চাই তাইতো তোমার তরে ভালোবাসার ধন
বানাও তুমি এই অধমকে তোমার প্রিয়জন।
তারিখঃ ০৪/০৬/২০২১ইং
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(৪০)জাগিয়ে রাখে কেউ
রাত্রি গভীর ঘুম আসে না
তবুও কেন কারনে
আখিঁযুগল জাগ্রত রয়
কোন সে গভীর টানে।
প্রানের সব ব্যাকুলতা গো
কারো জন্য জানি
ওই সুদূরে করো আহবান
আমার সর্বাঙ্গে শুনি।
মনে হয় জেগে থাকিনা
জাগিয়ে রাখে কেউ
হৃদয় জুড়ে বইতে থাকে
অজানা এক ডেউ।
ওই আকাশের নীলিমা জুরে
ভিন্ন কিছু দেখি
পুষ্প সুবাস জুরিয়া আজ
কারো সুবাস শুঁকি।
কোনসে সুবাস শুঁকি প্রানে
জানে নাতো কেহ
ঐশী রুপ জালওয়া নেশায়
প্রানের কত মোহ।
ফেঁসে গেছি অজান্তেই
কারো গোপন বাঁধনে
সেখান থেকেই কেউ আমাকে
ধরে আড়ালে টানে।
রিদয়ে মাঝে আমি অনুভবি
সেই পরমের টান
নিরবে তাতে ডুবিয়া থাকি
এইতো প্রেমের শান।
আমাকে ভালবাসিতেছে
কে সে গোপনে থাকি
প্রেমের শুরুতেই এত আরো
কত আছে বাকি!
কে সেই গোপন কে সেই আপন
মোর পরমজন
তাহাকে লভিতেই যেন আমার
কাটে আজীবন।
বেচে থাকতে পারি যেন
নিয়ে তার প্রেমের ধন
তাকেই নিয়ে এই বুকেতে
হয় যেন মোর মরন।
তারিখঃ ০২/০৫/২০২১ইং
রাত:০২:২৮মিনিট।