কেউ একটা ভুল করলো, সেই ভুলটা প্রচার করাটা চরম ভুল । যদি না এতে মানুষের কল্যাণ থাকে । এভাবে আমার একটা সাধারণ বিষয়কে অসাধারণ করে তুলি। একটা জীবনকে বিষাক্ত করে তুলি ।
কাউকে উপহাসের পাত্র বানাতে পারলেই আমরা নিজেকে বিজয়ী মনে করি । কখনো কী নিজেকে নিয়ে একটু ভেবেছি ! আমার অপরাধগুলোর কথা, কৃত অন্যায়ের কথা । আমার জীবনের কালো অধ্যায়ের সাক্ষী তো আমি নিজেই ।
পরের দোষ চর্চা করার দ্বারা আমার কী লাভ ? তার অন্যায়ের শাস্তি তো আমি ভোগ করবো না । অন্যায়কারীর জন্য তো রয়েছে লাঞ্ছনা-বঞ্চনার উপহার । পারলে তাকে সংশোধন হওয়ার পরামর্শ দেই । আপন ভেবে সদুপদেশ দেই । হয়তো অনুতপ্ত হবে, ভুল থেকে ফিরে আসবে ।
আমাদের মন-মানুষিকতা এতোটাই অনুন্নত যে, কারো অন্যায়ে আমরা উপহাসের সুরে তুলি । কিন্তু সেটা প্রতিকারের কোনো চিন্তাই করি না । পক্ষান্তরে, দেখা যায় আমি নিজেই হাজারো ভুলের মধ্যে নাকানিচুবানি খাচ্ছি অহরহ । সেদিকে খেয়াল নাই ।
কোন জাগ্রত বিবেকবান মানুষের তো এমন হওয়া চাই । নিজে আলোর পথে থাকবে। অন্যকে আলোর পথে ডাকবে । অন্যের দোষ গোপন রাখবে । অন্যের দোষের চেয়ে নিজের দোষে অধিক দৃষ্টি রাখবে । ভালো মানুষের উদাহরণ আয়নার মতো । সে আপনার দোষ আপনাকেই ধরিয়ে দিবে । আপনাকে লাঞ্ছিত হতে দিবে না ।
আসুন, নিজেকে সুগন্ধিময় করি ফুলের মতো ।জীবনটা সচ্ছ করি ঠিক আয়নার মতো ।