তোমার প্রাণে সুপ্ত আছে তেজস্বী সেই বল
জাগিয়ে তোলো ফের্ সেই প্রাণের শক্তি -
তুমি নহে দুর্বল!!
তুমি দৃঢ়তার পাহাড় হয়ে দাড়াও শক্ত পদে
সাহস জাগাও নির্ভীক হও হে!
কে আছে তোমায় রোধে।
জানিয়ে দাও এই ধরিত্রীকে বজ্র হুংকারে-
তুমি কত সবল!!
তুমি কালজয়ী বিন কাসিমের বুকের
শক্তি সাহস দেখোনি?
সালাহউদ্দীন আইয়ুরীর বীরত্বগাথা
কথা হয়তো তুমি শোনোনি?
সুনিশ্চিত বিজয় তাদের পদচুম্বুন করেছিল-
কত দৃঢ় অবিচল!!
তুমি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা পড়ো!
তুমি বুঝতে পারবে সত্যিকার সাহসিকতার পরিচয়;
কীভাবে দিতে হয়!
কীভাবে ভয়-ভীতি পায়ে দলিত-মথিত করে,
হুংকার দিতে হয় পরাশক্তির বিরুদ্ধে-
চল অগ্রে চল!!
ধরায় তিমির আঁধার নামিয়া আসিবে
চুপটি করে থাকলে তবে,
শুনি কেবলই আজ রণাঙ্গনে হর্ষধ্বনি
কে শুনাবে সে অমর বাণী?
আজকে বিশ্বময় হয়েছে সাধু, সার্থ উদ্ধারে পরের-
চাটছে পদ তল!!
কোথায় সে মশাল? সে মশালবাহক
ক্ষীন আলোয় ডোবা এই ধরা,
জ্বালাও সেই মশাল, ফের্ ধরো হাল
জাগিয়ে তোলো প্রাণে প্রাণে সাড়া।
শোষকের হস্ত থেকে নাও কাড়িয়া ক্ষমতা সব-
মুক্ত করো ভূতল!!
সাহসী তুমি নির্ভীক তুমি তবুও কেন ঘুমিয়ে
মুয়াজ্জিনে হাঁকছে তোমায় ভক্তি জমিয়ে।
এবার তুমি ফিরে,
ধ্বনিতে ধ্বনিতে মিলিয়ে তুমি আজকে
আওয়াজ পৌঁছাও ঘরে ঘরে।
জাগুক সব দূর্বল!!
তুমি কাহার উত্তরসূরী তুমি দেখো একটু চিন্তা করে
তাহাদের চাহুনি সেই তাহাদের হুংকার দেখো-
ইতিহাসে বিরল!!
তারিখঃ ২৯/০৫/২০২২ইং
সন্ধ্যাঃ ০৬:১০ মিনিট।