আমি এক নিরঞ্জন ভাবার্থ কবি,
প্রকৃতিকে ভালোবাসতে গিয়ে- - -
ভালবাসতে পারেনি নারী।
আমি ক্লান্ত আমি শ্রান্ত,
তবুও প্রকৃতির প্রেমে আমি মুগ্ধ।
রমণী মোরে ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে
দেখেছি আমি রমণীর চোখে জল,
সেই ব্যথার জল যে আমার কাছে জল ছিলনা
মনে হতো যেন একি অপরূপ দৃশ্য নেমে আসছে---
ঐ আকাশের ঢল!
আঁকা-বাঁকা ঠোঁটে নারীর সুশ্রী হাঁসি,
ঐ হাঁসির প্রতিটি ধ্বনি মনে হয় যেন- - -
দুরন্ত গতিতে পড়ন্ত ঝর্ণার কলকল ধ্বনি!
আমি ভালোবাসি আজও ভালবাসি,
এই বাংলার প্রকৃতির ছবি।
মোরে ডাকিয়া নারী যখন তাহার মনের কথা কয়,
মনে হয় যেন শীতের শিশিরে শিমুল গাছে
পাখির ডাকাডাকির কিচিরমিচির ধ্বনি শোনা যায়!
বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে যদি নারীর এলোকেশ,
তখনই মনের প্রতি ছবিতে ভেসে আসে
কোন এক নদীর চরে দুলছে কাশবনের দেশ।
একি অপরূপ প্রকৃতির সুন্দর মায়াজাল,
এই বাঁধন থেকে কেউ ছাড়া পাবেনা কেউ কোন কাল!
আহ্! একি অপরূপ প্রকৃতির সুন্দর মহাকাল।