পাহাড়ি ঢালু পথে
✍ মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন
আঁকাবাঁকা উচু নিচু পহাড়ি ঢালু পথে
কোনো এক ক্লান্ত দুপুর বেলা
তোমায় দেখেছি একা চুপি সারে।
পাহাড়ের সবুজ অরণ্যে ক্ষনে ক্ষনে
হারিয়ে যাও প্রিয় ,
ছন্নছাড়া চোখ দুটি পিছু ধাবমান
বাতাসে তোমার গন্ধ ভেসে আসে ।
রিনিক ঝিনিক নুপুরের আওয়াজ
বান্দরবানের রৌদ্রে
লাল হয়ে যাওয়া পাহাড় মুখরিত
কবির মন করছে চুরি ওগো বুনো মেয়ে ।
পাহাড়ের ঢালু পথে তোমার অপেক্ষায়
সুধায়- আর কত ক্লান্তি দেবে পাহাড় ফুল ।
তোমার মধুময় সুর গুলো তাড়া করে
আমি গভীর অরণ্যে বাঁধি ঘর
তোমায় পাবার আশায় ,
ঐ রাঙা মুখ লম্বা কালো চুলের বিনুনী
নীল চোখ গোলাপ সমেত ঠোঁটে
শিশির কণা করে টলমল।
তোমাকে না পাবার বেদনা যন্ত্রণা দেয়
কোথায় রয়েছে তুমি কোন অজানা পাহাড়ি মেঠোপথে ,
তোমাকে না পেলে ব্যর্থ জীবন আমার পাপ
আমি তোমার অপেক্ষায় ভবগুরে
এই অচেনা মেঠোপথে সময় করি পার।
তুমি এসো যখন সময় হয় স্বরস্বতী,
তোমার গুণানুবাদ শেষ হবার নয় -কারণ
তুমি সবুজে মিশে যাও যখন প্রেমিক দ্যাখে
পাহাড় সংলগ্ন শৈলপ্রপাতের স্বচ্ছ জলে
সমতল থেকে পনেরো'শ ফুট উপরে
বগালেকে অদৃশ্য হয়ে যাও যখন তখন ।
তোমার দৃশ্যপট বড়ই বৈচিত্রময়,
পাহাড়ের ঢালু পথ ফুরাবে কি আর।
তোমার প্রতিচ্ছবি আমাকে টানে
সুউচ্ছ পাহাড় থেকে পাহাড়ে,লেকে
নীলগিরি হয়ে নীলাচল, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির।
অতঃপর গভীর অরণ্যে কিংবদন্তি আলীর সুরঙ্গে
বিরোচনের মতই বিলীন হয়েছ মেনকা।
আমি তোমার সকল আচরণ সহ্য করেছি
তবুও দিলেনা সামান্যতম দর্শন ।