পরিচিত নীল আকাশ, পরিচিত সকালের রোদ,
পরিচিত বাতাস, পাতা নাড়ানো পরিচিত ফলদ,
মুগ্ধতার ছড়াছড়ি, এখানে সেখানে, ঘরে উঠোনে,
তবু কিসের যেন এক দ্বিধা বেড়ে উঠে সন্তর্পণে।
এক সাথে কেটে গেল কত কাল, জানা হলোনা,
তুমি কি আমার পরিচিত না দৈবে পাওয়া বেদনা?
দূরের উঁচু পাহাড়, পাহাড়ের বুকে সবুজ আচ্ছাদন,
কিছুটা বাস্তব লাগে, কিছুটা পরাবাস্তবের মতোন,
চূড়া তাদের রাংতা কাগজের মতো বরফে ঢাকা,
যেন বরফের রাজ্যপাট, বরফের প্রেমিক প্রেমিকা।
তার মাঝেই জেনেছি স্রোস্বসিনী, শুধু বুঝা হলো না,
তুমি কি কঠিন পাহাড় না পাহাড়ের বুকে চঞ্চলা ঝর্না?
শ্রাবনের বৃষ্টিতে মাঠ খাল বিল ভরে যায় স্বাদু জলে,
শোভা ছড়ায় ফুটে থাকা কচুরিপানা শাপলা ফুলে।
আকাশে ভেসে থাকে নিসংগ চিল মেলে দিয়ে ডানা,
ক্লান্ত পাখায় বসবার খুব ইচ্ছে জাগে, খুঁজে ঠিকানা।
অবারিত জলে নেই আশ্রয়, অন্তহীন এ ভেসে থাকা,
আচ্ছা, তুমি কি জল না জলদ, ভরা বর্ষাতেও একা?
ধোঁয়ায় ধুসর নগরেই বারবার আমাদের প্রত্যাবর্তন,
না হলে যে থেমে যায় চাল চুলো, থেমে যায় জীবন।
বাসের হাতল, টেম্পুর পা'দানিতে ঝুলে থাকা রোজ,
সময় হয়না নিতে পাশের ভারাক্রান্ত হৃদয়ের খোঁজ।
আচ্ছা, আমাদের মাঝে ভালোবাসা ছিল কি কখনো?
নাকি খুঁজে চলেছি এখনো, যা গিয়েছিল হারানো।
(আগস্ট ৬, ২০২৩, ভ্যাংকুউভার, কানাডা)