আমায় জাগিয়ে রাখে কোন সেই বোধ,
পলে পলে পিষে দিয়ে নেয় যেনো শোধ।
আমার তৃষ্ণার্ত চোখে কিসের অতৃপ্তি,
দেয়না ঘুমাতে মোরে না দেয় প্রশান্তি।
সে যে এক প্রেম বোধ প্রেয়সীর তরে,
নিভৃত কাননে মাঝে পেয়েছি যাহারে।
বেদনার্ত দৃষ্টি যার বুঝতে পারিনি,
যার ধ্যানে আজো কাটে বিনিদ্র রজনী।
হয়তো তার প্রেমের সুগভীর বোধ,
দোলা দেয় প্রতি ক্ষণে থাকেনা নিশ্চুপ।
ভাসায় ডুবায় ক্ষণে ক্ষণে অতল সমুদ্র তলে,
অবিরত শোণিত ক্ষরণ হৃদয়ের প্রতি পলে।
প্রেমের আঘাতে স্তব্ধ প্রাণে সুপ্ত বেদনার ভাষা,
প্রকাশিত হতে যেয়ে যেন থমকে যায় সহসা।
কে ছিলে তুমি রাজকুমারী নাকি অচিন মালিনী,
মদিরার ঘোরে সেই রাতে তোমাকে জানা হয়নি।
অন্ধকার হতে ফিরে এসে তাকাও নয়ন মাঝে,
প্রলেপ দাও বিক্ষত হৃদে লুকিয়োনা আর লাজে।
তোমার রহস্যের শৃংখলে বন্দী করে রাখো মোরে,
যদিও দক্ষ ক্ষত্রিয় আমি এসেছি লড়াই করে।
আজ যদি মিটে গেল সেই তীক্ষ্ণ সঙ্গিনের ধার,
ছিড়ে গেলো অজেয় ধনুর পাকানো কঠিন তার।
শিরস্ত্রাণ লুটায় ধুলায় উন্মুক্ত বক্ষ আমার,
আঘাত কর সুতীব্রভাবে ঝলসাক তলোয়ার।
সকল বোধ লুপ্ত হউক তোমার পূত বোধনে,
লুটাক আমার ছিন্ন শির তোমার নাঙ্গা চরণে।
তোমার গভীর প্রেম যদি এইভাবে শেষ হয়,
তবে কেন এতো লাজ বল হউক উগ্র প্রণয়।
খসে পড়ুক বর্ম প্রাচীর খুলে যাক তরবারি,
জীবনের পিপাসা মিটিয়ে অমৃত আস্বাদ করি।
(ঢাকা- ৩০.০৭.২০২১) মাত্রা: ৮ঃ৬ এবং ১০ঃ৮