এই পৃথিবী বিষন্ন হয়, জোছনাটা নয়,
মানুষের মনও কেন যেন বিষণ্ণ হয়।
এ বিষন্ন চরাচরে মর্মর ধবনির মতো,
উঠেছিল পূর্নচাঁদ গভীর এক নিশীথে।
জোছনার সুবাস ছড়িয়েছিল প্রতি কোনে,
অতৃপ্ত হৃদয় শুধু পেয়েছিল তার স্বাদ।
জোনাকির আলো যাদের চোখে জ্বালা ধরায়,
চাঁদের স্নিগ্ধ কিরণে তারাও ভিজতে চায়।
দেবতারা দেখতে থাকে সীমাহীন বিষ্ময়ে,
মানবের মন কি তাদের বুঝার বাইরে?
মেঘেদের পাখায় আজ বুঝি অনেক তাড়া,
চাঁদের বুক চিড়ে তারা চলে যায় সুদূরে।
ব্যস্ত মানুষটাও জানালা পাশে বসে থাকে,
একমুঠো শ্বেতশুভ্র জোছনা ধরবে বলে।
অসীম আকাশের দেবতারা আবারো দেখে,
মানুষের আবেগ ভীষণ গোলমেলে ঠেকে।
বুনো শেয়ালের ডাক মিশে বিরহীর গানে,
সে সাথে পৃথিবীও সুর তুলে বিষন্ন তানে।
কে-বা বুঝতে পারে প্রত্যাখ্যানের তীব্র ব্যাথা,
যার হয়, শুধু সে-ই বোঝে কেমন লাগে তা।
এ পূর্নিমায় চাইনা কোনো বেদনার গান,
হৃদয়ের যন্ত্রণা ছুড়ে দাও চাঁদের মুখে,
এই জ্যোৎস্নায় ঝরেছে অনেক চোখের জল।
আজ আমি নিকুচি করি পূর্নিমা আর জ্যোৎস্না।
ঢাকা- ২৩.০৭.২০২১