(১)
উঠোন ভরা চেরি ফুল,
বুকের ভেতর কৃষ্ণচূড়া।
তোমার মুখ দেখতে পাইনা,
চোখের মাঝে ভীষণ খরা।
(২)
দলিল দস্তাবেজে সই নেই,
নেই কোনো প্রত্যক্ষদর্শী,
শুধু তুমি জানলেই চলবে,
মন থেকেই ভালোবাসি।
(৩)
তোমার ভালোবাসায় বাঁচি আমি,
তোমার অবহেলায় মরি।
একবার শুধু ফিরে তাকালেই-
বাসন্তী হাওয়ায় উড়ি।
(৪)
কি এক অদ্ভুত গোলকধাঁধা তুমি,
তোমায় বুঝতে গেল আমার বেলা।
চাইলে কি আর ভুলতে পারি সব,
কাছে দূরে আসা যাওয়ার খেলা।
(৫)
গতকালও ভালোবেসেছিলাম,
আজকেও ভালোবাসি খুব।
আগামীকালও যদি বেচেঁ থাকি,
ভালোবেসে যাব নিশ্চুপ।
(৬)
আধেক আঁখি ঢাকা থাকুক চুলে,
ধ্রুবতারার আলোয় ঝলোমলো।
পথ হারানো নাবিক আমার মন,
ভাবুক তাকে বাতিঘরের আলো।
(৭)
তোমাকে ভুলার ছলে মনে ধরে রাখি,
তোমার মোহ মায়ায় নিত্য ডুবে থাকি।
ভীষণ ভাবে ইচ্ছে হয় বলি কানে কানে,
পড়েছি আমি এক নিশীথিনীর প্রেমে।
(৮)
তোমার তরী চলছে উজান বায়,
উঠছো তুমি নতুন মাঝির নায়,
তরতরিয়ে শাপলা জলে ভাস,
মনের জ্বালায় ঘরে থাকন দায়।
(৯)
এখানেও বৃষ্টি হয় ঝুমঝুম,
শুধু ভিজে না কদম, ভিজে চেরীফুল।
এখানেও বিরহে পোড়ে মন,
বলি না কাউকে, ভাসে চোখের দু'কূল।
(১০)
যে পুড়ে সে জানে দহনের বেদনা,
সম্মুখে সতত ভাস্বর তুমি রমনী,
তবু ভালোলাগার কথা বলা যায় না,
কাটে অপেক্ষার যন্ত্রণাময় যামিনী,
তুমি কি বুঝ কিছু তার, নিশীথিনী?
(১১)
তোমাকে দেখি না সমূখে,
তাই চোখ বুজে ভাবি-
বুকের পাঁজরের ভাঁজে
এঁকে নিয়েছি যে ছবি।
ভ্যাংকুউভার, কানাডা (মে ৭, ২০২৩)