কাছে এসো,
দু’চোখ ভরে তোমায় দেখি আজ,
নয় কোনো প্রসাধনি, নয় বাহারি সাঁজ।
আটপৌরে তুমি, অতি সাধারন,
যেমন থাক সব সময়, যখন তখন।
বক্সে তোলা থাকুক গলার কনক হার,
লাল বেনারসি শাড়ি, ঝমকালো পাড়।
কপালে চমকি টিপ নাইবা দিলে,
হাতের কাঁচের চুড়িও রেখো খুলে।
মাসকারা, কাজল, নকল পাপড়ি,
ঝাপসা না করুক তোমার দৃষ্টি।
তুমি শুধু তুমি হয়ে এসো কাছে,
হাত ভর্তি ব্যস্ততা ফেলে একপাশে,
পুরো করি নয়নের অতৃপ্ত সাধ,
ঘোচাই হৃদয়ের তিক্ত অবসাদ।
শত জনম মনে হয় পেরিয়ে গেছে,
শেষবার যখন চেয়েছিলাম তোমার চোখে।
তারপর দিনে দিনে দূরত্ব বেড়েছে,
যদিও আমরা ছিলাম অনেক কাছে।
আমি ভুলেছিলাম তোমার চোখের ভাষা,
তুমি ভুলেছিলে আমার আবেগের গভীরতা।
তবু আমরা ভাবতাম সবচেয়ে সুখী,
অগোচরে বেড়ে উঠা দীর্ঘস্বাস লুকিয়েছি,
বানের জলের মতো প্রেম আসেনি আর,
এসেছিলো কি কভু? মনে নাই কিছু তার।
তোমার মুখ এখন ঢাকা ঘন প্রসাধনে,
চোখ দেখে বুঝি না কি আছে মনে।
শুধু অনুমান করে নিয়ে আশ্বস্ত হই,
হয়তো ভালোবাস আগের মতোই।
হয়তো পুরোনো প্রেম আছে ছিটেফোঁটা,
এখনো মরে যায়নি হৃদয়ের সবটা।
তাই আটপৌরে রূপ নিয়ে এসো আজ,
ফেলে রাখো সব ব্যস্ততা, সব কাজ।
দেখতে দাও তোমার অনাবৃত চোখ,
খুলে বল হৃদয়ের সকল দুঃখ বোধ,
এটা জানা খুব জরুরী আমার কাছে,
আমাদের মাঝে কি আদৌ প্রেম আছে?
নাকি একসাথে কাঁধে জোয়াল নিয়ে চলছি,
নানা অজুহাতে নিজেদের আড়াল করছি।
আর অপেক্ষা করছি সেই প্রতীক্ষিত সময়ের,
যখন সব কোলাহল থেমে যাবে জীবনের।