আমার আঙিনায় পড়ে আছে,
গাছের অসংখ্য কর্কশ কান্ড।
সেই খন্ডিত কান্ডে হবে ভাস্কর্য,
কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের পর।
হাতুড়ি বাটালের যুদ্ধের শেষে,
আকার পাবে ভাস্কর্যের মতো।
শিরিষ কাগজের তীব্র ঘর্ষনে,
চকচকে হবে অমসৃন কাঠ।
তারপর রেখে দিব বাগানে,
মুগ্ধ করবে দর্শকের নয়ন।
আমার ডায়েরিতে কোটি অক্ষর,
যেন জমাট বাঁধা হাজারো ধাঁধা।
যেন কোনো জটিল অঙ্কের খেলা,
যেন অসমাপ্ত পান্ডুলিপির কান্না,
যার সমাধান আজও কেউ পায়না।
আমি সেই শব্দ নিয়ে অংক কষি।
সহস্র সূত্র মাথায় নিয়ে চেষ্টা করি,
বারবার লিখি বারবার কাটি।
এভাবে অন্তহীন চেষ্টার পর,
এক একটা চরণ ধরা দেয়।
চরণে চরণে অব্যক্ত যন্ত্রনা,
হাতের আঙ্গুল বেঁকে যায়,
নখ ফেটে রক্ত ঝরে খাতায়।
রক্তলাল ফোটা কালো হয়,
জমাট বেঁধে তৈরী করে শব্দ,
শব্দেরা গড়ে কবিতার প্রাসাদ।
যদি ভাবো কবিতা এতো সহজ!
তবে দেখে নিও কবিদের চোখ,
বহু রাত জেগে কালশিটে পড়া,
তবু সৃষ্টির উল্লাসে সদা উজ্জ্বল।
দেখে নিও কবিদের জীবন।
মস্তিষ্কের স্নায়ুতে বাসা বাঁধা,
নিযুত ভাবনার বোঝা বয়ে,
সকল দায়িত্ব সামাল দেয়া।
তারপরও যদি কবিতাকে বল,
অকর্মণ্যদের আজেবাজে বকা,
তবে তোমার জন্য শুধুই করুণা।
ঢাকা- ৩০.০৭.২০২১