কোনো এক ছুটির সকালে,
বারান্দায় রোদ যদি করে ডাকাডাকি,
তুমি এসো হেঁশেলের ব্যাস্ততা ফেলে,
ক্ষনিকের তরে, পাশাপাশি বসব দু’জনে।
ডিম ভাজি পরোটা,
চিনি ছাড়া আদা চা,
তুলে রেখো একপাশে,
এই জীবনে এতো ব্যাস্ততার কি আছে?
কতো সময় চলে গেছে ঘড়ির কাঁটায়,
এই জীবনের হয়তো বেশি বাকি নাই।
এ ঘর, ও ঘর আর রান্নাঘর,
টবের গাছে একটু জল,
খাঁচার পাখিদের দুবেলা খাবার,
এভাবেই শেষ জীবন তোমার।
টেম্পুর সীট না বাসের হাতল,
কোথায় হবে দুটো টাকা কম,
দুপুরের খাবার, ভাত না রুটি?
সারা জীবন এই ভেবেছি।
সকাল সন্ধ্যা হয়েছে অপচয়,
জীবিকা নিয়ে অহেতুক ভয়।
রাতের গভীরে একলা আমি,
অবসন্ন দেহে বাসায় ফিরি।
আবার ছুটে চলি সকাল হলে,
এটাকে কি কেউ জীবন বলে?
কতো বসন্ত কতো শরত,
আমাদের বারান্দায় দিয়ে গেছে রোদ।
এক সাথে বসে হয়নি দেখা,
আমি অফিসে, তুমি ঘরে একা।
বর্ষার বাদল, গ্রীষ্মের ঝর,
মধ্যরাতের চাঁদনী প্রহর,
বেমালুম সব ভুলে থেকেছি,
কায়ক্লেশে শুধু প্রাণটা বাঁচিয়েছি।
আজ ক্ষতি নেই পাশে এসে বস,
বাজারের থলেটাকে দূরে ফেলে রাখো,
ছুটির সকালে ঝলমলে রোদ,
কিছুটা না হয় অনিয়ম হোক।