আমি কবিতা লিখিনা বিদগ্ধের প্রশংসার আশায়,
আমি কবিতা লিখিনা সবার মাঝে অনন্য হতে।
আমার কবিতার প্রতিটি অক্ষর, প্রতিটি শব্দ,
তুমি মাত্র একজন, শুধু মাত্র তোমার নিমিত্তে।
ব্যস্ততার জলোচ্ছাসে হাবুডুবু খেতে খেতে,
হতাশ, বীতশ্রদ্ধ মনে হয় যখন এই জীবন,
তোমার স্নিগ্ধ মুখচ্ছবি দেখে স্বস্তি পাই খুব,
ঠিক জীবনানন্দের দারুচিনি দ্বীপের মতন।
নুহের নৌকার গলুই ধরে অন্তর্নিহিত যেই
ভালোবাসা বেঁচেছিল মহাপ্রলয়ের কালে,
আমার শার্টের বাঁ পকেটে পুড়ে নিয়েছি
সবটুকু তার, তোমায় ভালোবাসবো বলে।
নাগরিক জীবনের যুদ্ধ শেষে, নিংড়ানো
আখের ছোবড়ার মতো যে প্রেম ধরি বুকে,
অমর দেবতাদগনের আর্শিবাদের মতো,
তোমার স্পর্শে এক লহমায় ভরে উঠে।
জনারণ্যে অতিকায় ভবনের ফাঁক গলে,
টুকরো রৌদ্র এসে আলোকিত করে প্রাঙ্গন,
সেই রৌদ্রের উজ্জ্বল বীজ বপন করেছি,
আগুনের ফুলে দিব বলে হৃদয় বিসর্জন।
হে প্রিয় তরুণী, পরিশেষে নিবেদন করি,
তুমি আমার,
এক নক্ষত্রের আকাশ হও,
এক বৃক্ষের বনানী হও,
এক নৌকার সাগর হও,
এক নিশির পুর্ণিমা হও।
যদি পারো,
আমার সবকিছু হও!
(ঢাকা ১৭-০৮-২০২২)