চারদিকে অগণিত মৃত্যু দেখে,
ধার্মিক করহস্তে শুধায় ঈশ্বরকে।
কেন প্রভু অকারণে নিচ্ছ এত প্রান?
কেন করলে জগতে ত্রাসের সঞ্চার?
কত সুখে ছিলাম আমরা ধরণীর তলে,
আয়েশের সব ছিল হাতের নাগালে।
দুর্গম জঙ্গল করেছি রাজপথের মতন,
সাগরের গভীরে অবাধ বিচরণ।
জলে স্থলে অন্তরীক্ষে যত পশুপাখি আছে,
নিয়াছি সবাইকে মোরা আপন অধিকার মাঝে।
কেন প্রভু আচমকা এমন দুর্বিপাক দিলে,
শত মনে প্রশ্ন শুধু, উত্তর না মিলে।
সব শুনে মৃদু হেসে বলেন ঈশ্বর,
হৃদয়ের গভীরে বান্দা কর অন্বেষণ।
এই পৃথিবীর পুরোটা কি শুধুই তোমার?
আর বাকি কোনো প্রাণীর নেই কি অধিকার?
সব প্রাণীর জন্য আমি দিয়াছি ধরণী,
নিজেরটা ভেবেছো শুধু আর কাউকে ভাবোনি!
রাজপথ গড়েছো আমার উদ্যান কেটে,
একবার ও কি ভেবেছো সেথা আর কে কে থাকে?
গভীর জলের মাঝে তোমার যন্ত্রদানব,
মাছেদের আবাস টুকু ও করেছে হরণ।
তোমাদের সীমাহীন লোভের কারণে,
টিকতে পারেনি কোনো প্রানী নিজ আবাসনে।
পালিয়েছে কেউ কেউ, মরিয়াছে বহু,
নিজেদের ভাবিয়াছো পৃথিবীর প্রভু?
আজ আমি পাশার দান দিলাম উল্টায়ে,
সব প্রানী মুক্ত হবে, মানুষ রবে ঘরে।
পৃথিবীর সবটুকু আবার ভাগ হবে,
যতটুকু পাওনা যার, ততটুকু পাবে।
সভ্যতার দোহাই দিয়ে প্রকৃতির ক্ষতি,
এখনই থামাও হে নিষ্ঠুর মানবজাতি।
আমার ক্ষমতা কি তোমরা গিয়েছো ভুলে?
চোখ ফিরাও তবে অতীতের কালে।
বাড়াবাড়ির পরিনাম কভু ভাল নয়,
এখন ও সময় আছে সাবধান হও।