যে ক্রন্দনে অশ্রু নেই,
যে ক্রন্দনে ভেজে না চোখের ক্লান্ত পাতা,
অর্ফিয়ুসের বাঁশির মতো
তেমনই বিরহী ক্রন্দন, শুনতে পাও কি তা?
অন্তর্নিহিত অনুভবে কণ্টক,
অপ্রকাশ্য অবিমৃশ্যতায় কুণ্ঠিত ভালোবাসা,
ভাবনার কিশতির তবু তোমার
ঘাটে নোঙ্গর, অপেক্ষায়, কখন আসে বরষা।
কে তুমি দূরদেশী, পরবাসী?
চেতনায় বেদনা ছড়াও স্মৃতির সুতো ধরে,
দূর হতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়,
তুমি কি এখনো দো-টানায়, উনকবাট দ্বারে?
পোষ মানে না বুনো দু:খেরা,
কষ্টের শাদা পারদ কবেই তো ছুঁয়েছে আকাশ,
নীল বয়ামে জোনাকির আলো,
আঁধারে উৎ পেতে থাকে বিলম্বিত দীর্ঘশ্বাস।
প্রাগৈতিহাসিক শিলালিপি যেন
তোমার হৃদয়, দুর্বোধ্য মিশরীয় হায়রোগ্লিফস।
প্রত্নতাত্ত্বিকের সকল জ্ঞান বৃথা,
অদ্ভুত রহস্যের গোলকধাঁধায় ঘুরছি অহর্নিশ।
বসত গেড়েছে ঘুণপোকার দল
সৌখিন আসবাবে, অথচ উপরে নিপুণ পালিশ!
পেয়ালা ভরে রেখেছ অমৃত সুধা,
সন্তর্পণে কে মেশালো তাতে মেফিটিসের বিষ।
মে ২৬, ২০২৪
ভ্যাংকুউভার, কানাডা