বয়স সবে তখন ষোল’র ঘরে
চাইছিলাম প্রেমে পড়ি খুব করে।
ও পাড়ার মেয়ে তুই নন্দিনী
স্কুলে যেতিস করে দুই বেণী।
বইয়ের ভাজে রাখা ছেড়া পাতা,
আনাড়ি হাতে লেখা কবিতা।
ইচ্ছে করতো খুব দেই তোকে,
সাহস পাইনি এই ছোট বুকে।
টিফিনের হুল্লোড় স্কুল গেটে
অবাক তাকিয়ে রোজ দেখি তোকে।
সখীদের সাথে কত হাসাহাসি
ভীরু চোখে হঠাৎ চোখাচোখি।
মাঠের পাশের তোদের বড় বাড়ি,
ব্যাটে বলে রোজ চার ছয় মারি,
ক্রিকেট খেলাতো শুধু বাহানা
দেখতাম ছাদে তোর আনাগোনা।
উৎসবে পার্বণে ভারি মজা
ব্যস্ত হয়ে শুধু তোকে খোঁজা।
কত বাড়ী ছিল ঐ পাড়াতে
আড্ডা ছিল শুধু তোর গেটে।
কত বার চেয়েছি বলি তোকে
কত প্রেম জমা ছিল এই বুকে,
কেন জানি কখনো হয়নি বলা,
হুট করে কেটে গেল ছেলেবেলা।
জীবনের প্রয়োজনে এক ভোরে,
ছেড়েছিলাম ঐ পাড়া চিরতরে,
ভাবিনি কখনো আর হবে দেখা
আজো ভুলিনি তোদের বাড়িটা।
হঠাৎ দেখলাম আজ তোমায়,
বয়স চল্লিশের দোরগোড়ায়,
সেই বারান্দায় তুমি দাঁড়িয়ে
রঙিন গ্রিলগুলো গেছে ক্ষয়ে।
ডাকতে চেয়েছিলাম নাম ধরে,
গলাটা নামিয়ে নিই চুপ করে,
কি লাভ মনে করে স্মৃতি গাঁথা,
বছর তো চলে গেছে পঁচিশটা।
(ঢাকা- ৩ জুন, ২০২২)