সভ্যতার সত্যতা খুঁজে নিতে
মানুষ যুগ থেকে যুগান্তরে
কত কত কিছুর পিছনে ছুটে চলছে,
বলে বেরিয়েছে আমি সত্য, আমি
দিগন্তের পথ রেখা আমি এক
শূন্য থেকে সত্যি, দিব তোমাদের মুক্তি।
কেউ আধ্যাত্মিকতায় মগ্ন, ঘোরে
কাল থেকে কালান্তরে মানবের
কুলে ঠাঁই নিতে সত্যের দাবি তুলে মুখে,
কেউ ভবিষ্যৎ বলে সময়ে সময়ে
যার ভিত্তি নেই কোন কালে, তবুও
এক শ্রেণীর লোক অন্ধ ভরসায় সত্যি বলে জানে।
.
মানব বন্ধনে যুগে যুগে নতুন নতুন
আশার সঞ্চয় হয়েছে, শ্রেণী বেদে
রুপ থেকে রুপান্তরিত হয়ে আজ এই সভ্যতা।
জাতি বর্ণের ভেদাভেদ ছিলো, সেতো
আজও ঘোরে ফিরে লোক মুখে,
থাকবে হয়তো চিরকাল, কমে আসছে তবে।
এত এত বৈষম্য মানব মননে, যার
মনুষ্যত্ব ভেসে গেছে বিবেকের কুলে,
না’হয় হত’না হয়তো অত অত বঞ্ছনার স্বীকার।
.
মানুষ তার সত্য খুঁজে সৃষ্টিরহস্যে,
কেউ বাপ মায়ের সত্য বলে থেকে
যায় সত্য সত্য বুঝে, অন্ধ বিবেকে
ভাবেনা আসল নাকি অসত্যে ভরা নকল,
কেউ কেউ যুক্তিতে - মননে - বিজ্ঞানে
আত্মার নত জ্ঞাপন করে , অপুরন্ত
বিশ্বাস থেকে কিংবা সুখ লাভে স্রষ্টার চরনে।
.
ঘোরে ফিরে গোটা বিশ্বে মুখে মুখে
মানবের জ্বয়ধ্বনিতে মগ্ন থাকে
রাষ্ট্র নায়ক থেকে বড় বড় নামধারী নেতা,
পরমুহূর্তে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে
উঠে সেই মানবের আহাজারীতে,
মুখে মুখে বলে বেড়ায় আর বোমা
ছাড়ে হরেক যুক্তি সামনে এনে দাড়ায়।
আবার তারায় সত্য তারায় মানবের
পরম বন্ধু, ছদ্মবেশে জাতি বর্ণের বিবেদ
নিয়ে বাধ্য করে দেশ থেকে দেশান্তরে।।
.
কারা সে সত্য সন্ধানী, কে সে সত্য?
আমি এই তর্ক ধর্মের বাইরে নিজেকে
আটকিয়েছি, তোমাদের বিবেকের
তরে রয়ে যাক এই সত্য সত্য খেলার
বাণী, কারণ আমিতো মানব ধর্মে নিজেকে
সপেছি বহুকাল আগে, মানবের তরে
জ্বয়ধ্বনি রটে যায় আমার সুরেলা কন্ঠে।