তারিখটা মনে আছে?
আচমকা সালামের জবাব দিয়ে সেদিন ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে যায়
অচেনা কোন সুন্দরী নারী কিংবা সে পরী প্রশ্নে সায় দেয়া মনও বারন।
তবে নিয়তি হয়তো নিয়্যতের বেড়াজালে দু-একদিন পূর্বে অবয়ব হয়েছে
নয়তো সালামটাও আর্কাইভে পরে থাকতো বছরের পর বছর।
প্রশ্নে জড়জড়িত দিনটি মেয়ে বিদ্বেষী ছেলের কাছে হাস্যরসাত্মকতো বটেই
সাথে অপলক দৃষ্টিতে দুরন্তের পথ অবলোকন করাও অসম্ভব
তাও সেদিনের বর্ণনা তোমাকেই মানায়।
আমি চমকাতে ভালবাসি, চমকে দিতেও, চমকের সাথে মিশে সৃষ্ট সুখ নষ্ট করতে নয়
সে সুখের অংশীদার হওয়া যায়, ছোঁয়া যায় না, অনুভব করা যায়, বলা যায়না।
অল্প সময়ে খুব কাছে চলে আসা অশনি সংকেত
ভাবলে হয়তো, না ভাবলে নয়তো, জীবনের অধ্যায় সমাপ্তি নতুবা প্রারম্ভিক।
দিন বছর হিসেব কষে মাসও পার হয়নি, তোমার সাথে ডিজিটাল প্লাটফর্মে কথোপকথন
ঘন্টা হিসেবে একসাথে মুঠোফোনে বার্তা, আলাপচারিতা ততটাও কম না
তবে যেভাবে বন্ধুত্বে হাত বাড়ালে আমি না বলার কারন খুঁজবো ভেবেও কুল কিনারা পেলাম না, হাতটা শুধু বাড়িয়ে গেলাম।
বন্ধুত্বের মানে বুঝ? একের সাথে অন্যের কিংবা অন্যদের স্বভাবের মিল আর ইচ্ছের পূর্ণতা।
আমরা সে পুরোনো ধ্যান ধারনা মিছে করে ভিন্নতা দিয়েছি ভিন্ন মত, ভিন্ন স্বভাব, ভিন্ন হাত এক করে।
'আচরনে' 'ইচ্ছা' 'ভাল লাগা' পৃথিবীর মারপ্যাঁচে দুইজন ভিন্ন মেরুতে, তবে ভাল থাকার প্রত্যয়।
তোমার ঐ হাসি আমার প্রত্যয়কে আরো বাড়িয়েছে, আরো আশা দিয়েছে, তুমি হাসলে শরতের হিমেল হাওয়ার অনুভূত হয় বলে।
গল্পের মারপ্যাঁচ বুঝ? বুঝলেও সে অনুভূতি তোমার হয়ে উঠে? না হয়তো!
এই কারনে অসময়ে মন খারাপ অভ্যাসে পরিণত, সে অভ্যাসের পরিসমাপ্তি আমার হাতেই প্রিয়।
লাভ কি জানো? প্রশ্ন তোমার আসবেই, একবিংশ শতাব্দীতে কারন ছাড়া কিছু হয় না।
সে কারন খোঁজা কিছু মিথ্যে সম্পর্কের শুরু দিবে, যেটা অশুভকর, অসম্ভব ও চরিত্রের দোষ হবে।
লাভ আছে, একদমি নেই বলা যাবেনা? অনেক লাভ, তোমাকে ক্ষেপাতে, দুঃখদের তাড়াতে, একগুচ্ছ কষ্টে এক চিলতে হাসি দিতে।
তাও বিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে, তা কি করে লাভ হয়? সব লাভের হিসেব কষে কি হবে!
এই কয়দিনে তোমার মুগ্ধতা আমাকে অনাবিল সুখ দে, ঘটে যাওয়া ভিতর বাহির গল্প তোমাকে চিনতে বুঝতে আমায় ভাবায়।
সে ভাবনার মধুরতা নেই, আছে ক্ষনিকের যন্ত্রণা, তবে সৃষ্ট সুখ আছে, পাল্টা উত্তরে তোমাকে হারাতে পারি দূর দিগন্তে।
ভাবাতে পারি দূরের ঐ পাহাড়ে একটা পরীর বাড়ি আছে, ভাবাতে পারি সে রাজ্যের রাজগিন্নি কে!
নিতে পারি পুরোনো কিছু স্মৃতির ক্যানভাসে, শরতের হাওয়া দি হাহাকার করা গরম উত্তপ্ত উত্তেজিত হওয়া মনকে।
তারপর ভাববে এই ছেলের কি কোন লাভ আছে? লাভ আছে
অচিন পুরের কেউ স্বার্থ ছাড়া কিছু করেনা, শতাব্দীর ইতিহাস সে স্বাক্ষ্য দে।
আমি মুগ্ধতা ভালবাসি, কারো অকারনের হাসি হতে, স্বার্থ ছাড়া শুধু নিত্যদিনের অপূর্ণ মনের তৃপ্তি দিতে।
সে অপূর্ণ মন দুষিত করতে নয়, দূষণ রোধ করতে।
আমার আরো লাভ আছে, শুনবে?
গুনগুন করা স্বর সুরে সুরে কানে দাও, বাকাত্যাড়া দেহে নিত্য গড়ন, আমি দেখি আর ভাবি, তুমি এত মিষ্টি কেনো?
হাসিতে রাজ্য জয়, ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি, মুখের গড়নে টুল পড়া
একটা নয় চার চারটে টুল, সৌন্দর্যে সবটুকু দেবীর আবহ।
সেখানে হারিয়ে যায় প্রশ্নের উত্তর খুজতে, তুমি এত মিষ্টি কেনো?
এই রাজ্যে তোমাকে রাজগিন্নি করতে কতজনের স্বপ্ন, সে স্বপ্নের দোষ কি দিবে? দোষটা নিজের না?
এক মানুষের এত মায়া এত রহস্য এত নতুনত্য, পুরুষের আশার সবটুকুতে তুমি শতে "শ", পুরুষের দোষ দিয়ে আর কি হবে!