স্বপ্নগুলো চাপা পরে আছে বিশালাকার পাথরের পৃষ্ঠদেশে
নড়া-চড়া করে না, বাতাসেতে উড়ে না, হয়তো ভূলে গেছেন
নতুবা দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে সময় হচ্ছে না মহাশয়ের!!

বহুকাল ধরে স্বপ্নগুলো বন্দি হয়ে আছে অক্ষিগোলকের অন্ধকারে
এমনি করে পেরিয়ে গেলো অগণিত শ্রাবন, অসংখ্য ফাগুন
অগণিত বসন্ত পেরিয়ে গেলেও, প্রেরনার আলো জ্বালেনি কেহ।

সময় পেরিয়ে যায় আপন ভঙ্গিমায়
কে যেন হেটে যায় আলগোছে!
সুপ্ত বাসনাগুলো চিঁৎকার করে ওঠে সজোরে;
ঝড়ে পরা পাতাগুলো মচ-মচিয়ে ওঠে স্বয়ংক্রিয়ভাবে
শিহরিত হই! চর্মপৃষ্ঠের রোমকুপগুলো দাড়িয়ে ওঠে নির্ভয়ে
অদৃশ্য দেবতা তাচ্ছিল্লে চলে যায় অন্য কোথা; কোন সুদুরে।

শন শন হাওয়া বয়ে যায় শিকলে বন্দি স্বপ্নগুলো ঘিরে
দমকা হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে যায় পাহাড়সম বটবৃক্ষ
পাথর টুকরো উড়িয়ে নিতে আসে না ঝড়ো হাওয়া।

ওহে চৈত্রের কালো ঘুর্নিঝড়! ওহে বৈশাখী দমকা হাওয়া
খুলে দিয়ে যা অনন্ত ইচ্ছেগুলো আটকে রাখা দরজাটাকে
তোর আশীর্বাদী দংশনে চূর্ণ করে দে চেপে রাখা পাথরটাকে।

হে নির্বিকার ঈশ্বর! আপনার দিব্যি দিয়ে বলছি আমার বিধাতা
বন্ধনিটা খুলে দিয়ে যান প্রভূ; একটিবার এদিকপানে দৃষ্টি দিন
তোড়-জোড়ে চাপিয়ে রাখা পাথরটাকে সরিয়ে দিন সামান্য ইশারায়;
অনন্ত স্বপ্নগুলোর দরজাটা উন্মুক্ত করে দিন প্রভূ
আপনার আশীর্বাদপূর্ন দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন একবার
পরিপূর্ণ হই আমি; আপনার আশীর্বাদের মহিমায়।


কেকেবি-২৯.০২.২০১৬