বাবা’র কাধে চড়ে দোতলার সিলিংটা ছুয়েছিল একদিন।
সে কি আনন্দ খোকনের!
শুভ্রনীল চকচকে আকাশটাও কাধে চড়ে ছোয়া যাবে ভাবে মনে মনে।
বাবা বলে, দুষ্ট ছেলে, এমন বায়না করতে নেই খোকা!!
খোকনের মনের আকাশজুড়ে নানান প্রশ্নের ঘনঘটা
নানান রকম অঙ্গ-ভঙ্গি, সামনে ধরে আয়না;
আকাশটা কেন এত দূরে? কে পাঠালো ঠেলে ওটাকে?
নিশ্চয়ই বাবার কাজ; বার বার ধরতে আমি করি যে ভীষণ বায়না।
পোষা ময়না’র সঙ্গে উড়ন্ত চিলটাকে বন্দি করতে সাধ হয় খোকনের।
উড়ন্ত জাহাজটাকে যদি খেলনার বাক্সে আটকে রাখা যেতো।
বাবাকে এত করে বলেও চিড়িয়াখানার বাঘটাকে বাড়িতে আনা গেলো না।
ঠাকুরমাকে নালিশ দিলে হাসে মিটি মিটি। বাবা কোন কথাই শোনে না।
আমিও একদিন বাবার মতো মস্ত বড় হবো
তখন আর কে আটকাবে আমায়!!
বলবো না আর কাউকে আমি কিচ্ছু
ইচ্ছে মতো ছড়িয়ে পাখা উড়বো আকাশপানে
প্রজাপতি ডানা মেলে ছুটবে আমার পিছু।
লক্ষ ইচ্ছে সাজে আপন মনে, হাজার প্রশ্নে হয় যে মাথা জড়ো
সূর্য্যি মামা কেন থাকে দূরে? চাঁদটা কেন দেয় না দেখা দিনে?
দিনটাই বা হয় কিভাবে এমন? যখন তখন রাত্রি আসে নেমে!!
একদিন আমি করবো জয় সবই; হবো যখন বাবার মতো বড়!
যখন আমি অনেক বড় হবো!!
চাঁদটাকে আর পালিয়ে যেতে দেবো না গভীর বনে;
সূর্যটাকে আটকে রাখবো, দিদির আয়না বাক্সে
রাত্রি যখন আসবে নেমে; বাক্স খুলে রাখবো বেঁধে
আমাদের ঐ দোতালা ঘরের কোনে।
KKB-22.08.2016