মিথ্যে ওয়াদার প্রলোভনে ভুলিয়ে কি লাভ!

তোমার জন্য সূর্যটাকে মুঠোবন্দি করে এক সাঁতারে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেবো, এমন আজগুবি কথা বলবো না।
সূর্যের অতিক্ষুদ্র শক্তি “বেগুনী রশ্মি’র” সংস্পর্শে যাওয়ার সাহস দেখালেও, শাস্তি হিসেবে উদ্ভট সব পীড়া উপহার পাওয়া যায়।
তা সত্ত্বেও, ভালোবাসা নামের মরীচিকাসম অদৃশ্য বস্তুটি স্পর্শ করার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে চলেছি।

এভারেষ্টের চূড়ায় ওঠা কিংবা গ্রীনল্যান্ডে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতে চাই না।
বসন্তের ঝরে পড়া শুকনো পাতার বক্ষে, হৃদয়ের ক্ষরিত রক্ত ধারা দিয়ে বহুবার লিখে দিয়েছি “ভালোবাসি”। চলার পথের সাধারন পাতা ভেবে মাড়িয়ে গিয়েছো অকপটে।
“আমার হৃদয়ে তোমার ছবি” আঁকা অসংখ্য রঙিন বেলুন উড়িয়েছি তোমার নীল আকাশে।
কাঁচের টুকরো ছুড়ে ফাটিয়ে দিয়েছো নিজ হাতে।
সত্যিকার অর্থে; তোমার হৃদয় পাওয়ার মতো, উজবুক, ভন্ড প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারিনি এখনও।

তোমায় নিয়ে চন্দ্র সফরে যাওয়া হবে কিনা স্পষ্ট করে বলতে পারছি না।
এখনও ঐ পরিমান ডলার উপার্জন করতে পারিনি।
রানী এলিজাবেথের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে রাতের খাবার আর বিল গেটস’র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডলার ছাপাবো, এমন উদ্ভট কথাও বলবো না।
বলবো না- দূরন্ত ষাড়ের চোখে বাঁধবো লাল কাপড় বা বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনে দেবো দূর্লভ নীল পদ্মগুলো।

বর্ষায় ফোটা প্রথম কদম এনে দিতে পারবো তোমায়
শরতের শুভ্র কাশফুল দিয়ে সাজিয়ে দেবো তোমার ঘন কেশের বেনুনি
পৌষের শীতে ভিজে অমাবশ্যার রাত কাটাতে পারবো নির্দিধায়;
বসন্তের শীতল বাতাস হয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবো অবিরাম
ভালোবেসে অনন্তকাল ছায়া হয়ে থাকবো তোমার সীমানায়।  

তোমার জন্য জীবন দিতে পারবো না,
কারণ প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা’র প্রমাণ হয়তো করা যাবে; কিন্তু একসঙ্গে জীবন কাটানো হবে না।
তোমার কাছে ভালোবাসা’র মানে যদি কুয়েতের দিনার আর ক্যাসের্তার রাজকীয় প্রাসাদ না হয়ে থাকে, তবে এ ক্ষুদ্র ভালোবাসাপূর্ণ হৃদয়ের বিনিময়ে, চার অক্ষরের শব্দটা আমার প্রাপ্য।

KKB-25.08.2017