তয়নিকা আমার ইস্কুল বা কলেজে
কোন পছন্দের মানুষ তা ঠিক না,
তবে ও আমার কবিতার সুপাঠিকা হওয়া থেকে
সমস্ত সুখ দুঃখে সময় অসময়ে পাশে থেকেছে ।

জীবনের পথ আরো সুদীর্ঘ হল
এতটাই সুদীর্ঘ যে তাতে যানজট বেঁধে,
গিয়ে ব্যস্ত হয়েগেল সবকিছু আর সেই হাজার ব্যস্ততার ভিড়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেল তয়নিকা।

এরপর জীবন থেকে বসন্তটুকু পার হয়েগেল
আমিও সমাজবদ্ধ মৌলিক সংখ্যার বন্ধনে
জরিয়ে পরলাম, একদিন অফিস যাওয়ার সময় দেখলাম হাসপাতালের সামনে একটা মৃত দেহ ।

আর সেই মৃতদেহের পাশে মিথ্যে অভিনয়ে পারদর্শী সব  আত্মীয়রা , কেউ একজন কেঁদে ওঠে বললো,
কেন চলে গেলে এতো কিসের তাড়া তোমার ?
এতো সুখ বৈভব তুমি সহ্য করলে না কেন ?

দেখলাম শরতের হওয়া সেই মৃতদেহের মুখ থেকে সাদা কাপড় সরিয়ে দিল একি? এযে সেই চেনা অবয়ব এতো সেই তয়নিকা,
ওকে জীবনের শাশ্বত সত্য গ্ৰাস করেছে ক্ষুধার্ত জন্তুর মতো।

শুধুমাত্র শীতঘুম নয় ওকে সব ঋতুর ঘুম আক্রমন করেছে সেই ইতিহাসের সৈন্যদলের মতো,
আমি জানিনা তুমি এখন ঠিক কেমন আছো ?
তয়নিকা তুমি নিজের মতো করেই ভালো থেকো ।

বারাসাত, উত্তর চব্বিশ পরগনা
24/09/2024