খুব যে এখন জানতে ইচ্ছে করে তা ঠিক না
তবে বিনিদ্র সব রাতে মনে হয় বহুদিন তোমায়
জিজ্ঞেস করা হয়নি, কেমন আছো?
তোমার সাথে সেই যেদিন আলাপ হয়েছিল
প্রিন্সেপ ঘাটে, সেই বর্ষা মুখরিত দুপুরে মনে আছে?
তার কয়েকদিন পর ভালোবেসে তোমার
দুটো নাম রেখেছিলাম।
মাঝে মধ্যে কাজের ব্যস্ততায় তয়নিকা বলে ডাকতাম,
সুখ দুঃখে কখনো বা বলতাম শুনছো বসুন্ধরা।
ভেবেছিলাম তোমার আমার হৃদয়টা মোহনার মতো মিশে যাবে,
না তা আর যাইনি তবে প্রতিকুল স্রোতে জীবনের বেশ কিছুটা সময় একাই কেটে গেছে।
তোমার মনে আছে?
সেই কলেজ স্ট্রিট থেকে প্রায় ফেরার পথে তুমি গলা ছেড়ে গান গাইতে আর আমি কবিতা শোনাতাম।
কখন যেন এই ভালবাসার পরিসরের শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছি ,
সুখ বৈভবের ক্রেতা হতে পারিনি বলে আমার নামের আগে অক্ষমতার তকমা লাগিয়ে নিজের উপস্থিতি আবছা করে দিলে।
তোমার মনে আছে?
সেই কফি হাউজে শেষ যেদিন তোমার সাথে দেখা হয়েছিল ,
অপরিস্ফুট কথা গুলো মুক্তি পেতে চেয়েছিল তখন
হ্যাঁ আমিই জোর করে তাদের বাধা দিয়েছি ।
এখন আর মনে পড়ে?
তুমি বলেছিলে দেখে নিও আমার চেয়েও
কয়েকগুণ ভালো একটা মেয়ে তোমার
আদরের লক্ষীটি আসবে।
তোমার হয়তো আমার কথা মনেই নেই ,
আজও নোনা জলের শিশির পরে আমার পায়ের উপর আর সেই প্রিন্সেপ ঘাটে ভাঙ্গা নৌকায় বসে এই হৃদয়ের প্রশ্নমালা জানতে চায় তুমি ঠিক কেমন আছো?
বারাসাত, উত্তর চব্বিশ পরগনা
30/08/2024