কোনো এক নিশ্চুপ রাতে, নির্মল বাতাসে।
ধান ক্ষেতের মাঝেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
মাস টা ছিলো বৈশাখ।
সময় টা বৈশাখের দিন পনেরোর এক রবিবার রাতের কথা।
মনে ছিলো বেশ প্রেমের ঝটকা।
হুটহাট মনে হয়ে যেতো প্রিয় তোমার কথা।
সেই রাতে ও, তুমি এসে আটকে গেলে মনে। তবে,তুমি সেই রাতে এলে গাঢ় অন্ধকার হয়ে।
যখনই, তোমার চিন্তায় আমি মগ্ন।
কি করে মিলবে তোমার সঙ্গ।
ঠিক তখনই,
মেঘ হাঁক দিলো, আকাশ গর্জে উঠলো তাঁর নিজস্ব নিয়মে ।
ফোঁটা কতেক আছড়ে পরলো আমার অঙ্গে।
সে কি! ঠাণ্ডা হাওয়ায়, মনের কোমলতা ফিরে আসছে বার বার।
আমার চোখের লবণজল ও আর, থাকতে পারলো না তাঁর জায়গায়!
সে ও পরছে, বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে।
আর মিশে যাচ্ছে, ধান গাছের আড়ালে।
সেই রাতের অপূর্ণ ভালোবাসায়,
ঝরানো অশ্রুর কথা।
কেউ জানবে না,এই ক্ষুদ্র জীবনে।
তবে সেই, বিশাল মাঠের সবকটা ধান গাছ জেনে গেছে।
তাঁরা জেনে গেছে, আমার ভালোবাসা সীমাহীন।
তাঁরা বুঝে গেছে ভালোবাসার তীব্রতা,
জেনে গেছে চোখের জলের ওজন কতটা।
তাদের বলবার ভাষা নেই।
পারলে, তুমি জেনে নিও তাদের থেকে।
ওজন করে নিও কতটা ভালোবাসার জল ঝরিয়েছি সেই রাতে।
ভালোবাসার জলে ভিজিয়ে দেয় আমি আজও বহু দিবস রজনী।
বুঝলে না শুধু তোমার মতো পাষাণী, ভালোবাসা আসলে কী।