কিছু শরতের পর হেমন্ত আসে
শীতও আসে, ঋতুভেদের নিয়ম মেনে
তীব্র ঠান্ডা রাত তখন হয় দীর্ঘ ক্রমান্বয়ে
ক্ষীণ স্বর, মলিন চামড়া, ধোয়াশা ধোয়াশা
ধীর পায়ে ঘরে ঢোকে উপমহাদেশীয় শ্বাপদ
খণ্ড করে মহাকাল, পাপ ঢাকে চতুরতায়
আমরা হয়ে যাই মানুষ, সীমান্তপথ ধরে হাঁটি
হৃদপিণ্ড পড়ে থাকে শুধু এক গভীর অন্ধকারে
যদিও আলো হাতরে এই খোঁজা প্রাগৈতিহাসিক
কি যেন খোঁজা, তবুও পাওয়া যায় না তার খোঁজ
সে হারিয়ে গেছে, চির আরাধ্য প্রিয় বসন্ত আমার
শীতের তীব্রতায় ফিকে হওয়া চোখের আলোয়
আমরা তবুও খুঁজে যাই তাকে, প্রিয় বসন্তকে
যদি মেলে তাতে মৃত্যুর কোমল স্বাদ শেষে
আহা! মৃত্যু- অমোঘ সত্য, অপ্রিয় ধ্রুবতারা

কিছু শরতের পর হেমন্ত, তারপর শীত আসে
শীতের কুয়াশায় আমরা রোদ খুঁজি
রৌদ্র ঝলমলে বসন্তকে খুঁজি, হারিয়ে যাওয়া বসন্ত
ধ্রুবতারা তখন জেগে ওঠে, মগজের ভেতর বলে-
কিছু শীতের পর আসেনা ফিরে বসন্ত

তবুও আমরা আশা রাখি, স্বপ্ন দেখি রোজকার
ঘামে ভিজি, রোদে পুড়ি, রক্ত ঝরে, মরে যাই
তবুও চাই, রোদ হয়ে একদিন ফিরে এসো সত্যবতী


ফুলতলা, পদ্মানদী
রাজশাহী
৯ ডিসেম্বর ২০২০