ছায়ার নিনাদ শোনো কি তুমি? শুনেছো কখনো?
সরীসৃপেরা হাঁটে লিকলিকে পায়ে, দাগ কেটে যায়
পৃথিবীর বুক চিরে বয়ে চলা নদীর স্রোত, কান্নার মতো-
অথচ কান্নার আওয়াজ তোমরা পাও না।
খুব করে বৃষ্টি চাওয়া চাতক পাখি বুকে প্রবল তৃষ্ণায়
চৈত্র্যের আকাশে চোখ মেলে দ্যাখে প্রবল অনিশ্চয়তা;
সে অনিশ্চয়তায় আরও কতো কি থাকে! ছায়ার নিনাদও থাকে।
কিংবা ধরো, কুকুরটা প্রসাদের লোভে রোজ লালা ফেলে,
কালো পলিথিনে মিলবে গতরাতে চেটে দেখা অমৃত-
কান পাতো, ক্ষুধার্ত অপেক্ষায় এখানেও ছায়ার নিনাদ বাজে।
যখন একটা বিষন্ন কালো কাকের শূন্য চোখ চেয়ে থাকে দূরে
সন্ধ্যের কুয়াশায় মিলিয়ে যাওয়া মৃত শরীরের ভাঁজে ভাঁজে,
যখন শেষ রাতে শুকতারার মতো নিভে যায় নবজাতক শিশু,
কাঠোর চিতায় কবির করুণ লাশ পুড়লেও কাঁদে খোদ আগুন-
কান পাতো তখনও বাজে সেই সুর, ছায়ার নিনাদ।
তুমি শুনেছো কি? কিংবা তোমরা? শুনেছো?
নির্বাণ, ২২৯/বি
মতিহার, রাজশাহী
২০২০