বউটি আমার বদমেজাজি কাটকাটারি ভাব,
কথায় কথায় বুঝিয়ে দিত তাঁর কত প্রভাব!
একটু মতের অমিল হলে এমন হতো রাগ-
দূর হতো না যতই দিতাম মধুরও সোহাগ!
বউটি যে তাঁর ধনী বাপের আদুরে এক মেয়ে,
দিন-রজনী পার করে দেয় পাস্তা খেয়ে খেয়ে,
মিষ্টি - মিঠাই আইসক্রিমে যাচ্ছে সে মুটিয়ে-
বলতে গেলে মরি আমি ধমক খেয়ে খেয়ে!
বিয়ের আগে রান্নাঘরে যাইনি যে বউ কভু-
পিঁয়াজ রসের ঝাঁঝে এখন খায় সে হাবুডুবু!
কোমল হাতে মরিচ বাটা- জ্বলে শিরশিরিয়ে-
গানের মত সুর ধরে সে কাঁদে গেয়ে গেয়ে!
বেহাল দেখে যখন আমি যাই যে কাছে ছুটে-
রক্তরাঙ্গা চোখ দুটোতে আগুন ঝরে- ফুটে;
ভাবটি তাঁহার ডিগ্রীধারি সর্বজয়ী রাঁধা-
খাবারগুলো কষ্টে অতি গলায় পড়ে বাঁধা!
মায়ের কাছে সঁপে দিলাম বউয়ের কীর্তিনামা-
মা বললেন বাজে বকিস- মুখটি এবার থামা!
দশটি বছর ভাত রাঁধিনি রাগ করেনি বাপে-
নতুন বউয়ের ভালো-মন্দ এইভাবে কেউ মাপে?
কন্যা যখন বিয়ে দিবে বুঝবে তখন জ্বালা-
হিসেব করে বউয়ের গলায় এবার পরাও মালা।
বউয়ের এখন খুঁত ধরিনা – সকল কাজে হাসি,
রেষারেষি ভুলে দু’জন গভীর ভালোবাসি।।
*রাঁধা- এখানে 'রাঁধুনি'
-- রচনা, ২২ জুলাই ২০১৭।