চারিদিকে আজ বানের পানি দু’চোখ যেদিক চায়-
থই থই জল পথে-প্রান্তরে, ঘরের আঙিনায়।
একখানি গরু ভাসিতেছে জলে, পূর্ণ কলার ভেলা;
একখানি ঘর জলের ভেতর- একটি দেয়াল হেলা।
কোলে চঞ্চল ছোট্ট শিশু, নারী, বুড়ো ও বুড়ী
আবক্ষ জলে জোয়ানেরা চলে, ত্যাগী নিজ ঘরবাড়ি;
লক্ষ্যবিহীন গন্তব্য- শুধু খুঁজে মরে ডাঙা-
তাঁবুর আশায় ভুলিয়াছে তাঁর আপন ঘরটি-ভাঙা!
সব জলে দিয়ে শুধু জান লয়ে পেল সে আশার দেখা-
বন্যার্তের শেলটার; তবে- একটুও নেই ফাঁকা!
বন্যার কালে আশ্রয় দেখে পুলকিত হয় মন-
জীবনের তরে প্রতিযোগিতা চলে তবু সারাক্ষণ!
অগত্যা তার পথের ধারেই পাতিয়াছে তাঁরা তাঁবু-
থাকবার ঠাঁই যদিও মিলেছে তবুও ক্ষুধায় কাবু।
বানভাসিদের শূন্য উদর গভীর আশংকায়-
মানবতার পরখ করে ত্রাণের অপেক্ষায়!
মাঝে মাঝে তা যদিও জোটে-তবুও তাহা কেনা-
ভোট দিয়ে তার একদিন যে শোধিতে হইবে দেনা!
বস্তাভরা ত্রাণ আসে আর নেতায় ভরা গাড়ি-
ত্রাণ পাওয়ার আগেই তাঁদের কথায় ভরে নাড়ী!
ত্রাণের সাথে জলের মত ভক্ষণ হয় কত-
দলবাজদের গর্বগাঁথা প্রশস্তি শতশত!
বন্যা এলেই বুঝি আমরা বদন্যতার মানে-
মানবতার মূল্য বাজে দলবাজদের কানে!
মানবতা ভাসতে থাকে দল ও ভোটের বানে-
তাইতো বুঝি বন্যা আসে সুবিধাবাদীর টানে!
-- রচনা, ২১ আগস্ট ২০১৭।