কবির ধারে কাছেও যেওনা
তুমি বরং কবিতার দাবানলে পোড়ো।
কবির তৃষ্ণার্ত চক্ষু গিলে ফেলবে
তোমার নগ্ন যুগল কামুক ঠোঁট,
সেই কামুক ঠোঁটে কামড় বসাবে লেখনী।
লেখনীর ডগা দিয়ে দাউদাউ করে
প্রজ্বলিত হবে ঠোঁটের মনোহারিতা
কিন্তু কবি থাকবে নিশ্চু্ঁপ।
চোখের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে পাড়ি দেবে কয়েকশো নটিকাল পথ কিংবা কয়েক যুগ।
কৃষ্ণকালো কেশে ডুবে যাবে কবির আয়ুষ্কাল,
বাসনার বক্ষোমাঝে কেঁদে মরবে ক্ষুধিত যৌবন
কিন্তু কবি খুঁজতে থাকবে হিমালয়ের সৌন্দর্য।
নিতম্ব দেখে বলে দেবে গিরিখাদের চূড়ার দৈর্ঘ্য আর খাদের সঠিক পরিমাপ,
সাগর না দেখেই কল্পনায় আঁকবে
বারমুডা ট্রাঙ্গেল পাড়ি দিতে গিয়ে
ফেরত না আসা অসংখ্য জাহাজের ছবি।
অথবা তোমার কপালের ছোট্ট কালো টিপ
কিংবা হালকা কাজলেই আটকে যাবে
কবির ক্ষুধিত চক্ষুদ্বয়।
কবির প্রেমে পড়তে যেওনা,
তুমি বরং কবির কবিতার প্রেমে পড়ো
কারন কবির প্রেমিকা অসংখ্য।