বঙ্গরুপের পল্লীস্মৃতি ,
বলব একটু আজ ,
গাছে গাছে পাখ-পাখালির ,
নিপুন কারুকাজ ।
সকাল বেলায় ঘরে ঘরে ,
পড়ে যেত সারা ,
কোদাল- কাস্তে লাঙল-গরু ,
কাজের কত তাড়া ।
কাজের মাঝে সুর মিলিয়ে ,
হইত কত গান ,
ক্লান্ত হইলে আইলে বসে ,
হুঁকোয় দিত টান ।
কৃষাণীর সারাটা দিন ,
কাটত ঢেঁকি ঘরে ,
ধান ভানা চাল কুটা আর ,
গপ্প গুজব করে ।
শীতল পাটি পেতে দাদি ,
কইত দাদু আয় ,
নীল পরি আর রুপকথার ,
গপ্প বলে যায় ।
সকাল-সন্ধ্যা গাছির ঘরে ,
খিলে ঝাড়া সেই রস ,
নানান রকম পায়েস পিঠার ,
ছিল কতই যশ ।
অতি আদরে ডেকে নিত ,
কুটুম এলে বাড়ি ,
এনে দিত গুঁড়-মুড়ি আর ,
নকশী পিঠার হাড়ি ।
রাত্রে বেলা বন্য পশু ,
ডাকত আশেপাশে
এরই মাঝে কাটত যে দিন ,
সবার মিলে মিশে ॥