ছবি আঁকা বিষয়টা যে খুব সহজ
সেটা করার জন্যই সেদিন আমি তিনটা আরশোলা খুঁজে নেই
বাগান থেকে রক্তজবা, বকুল আর শিউলি তুলে আনি...
লাউ, শিম আর বেগুন গাছের শরীরে লেগে থাকা কিছু পোকা ধরে আনি...
...
তারপর আরশোলা তিনটাকে সুতায় বেঁধে
মেটে কালিতে চুবিয়ে ছেড়ে দেই সাদা কাপড়ের জমিনে
তারাই এঁকেবেঁকে হেঁটে গিয়ে এঁকে দেয় ধলেশ্বরী নদীটার সীমানা
রক্তজবা ঘষে ঘষে সূর্য বানাই; শিমের সবুজ পাতায় মাঠ তৈরি করি
বকুলের গন্ধ নিয়ে একা একাই দাড়িয়ে যায় কৈশোরের সেই ধূসর রঙের বাড়ীটা
আর শিউলি ফুলের মতোই একটি মেয়ে ফুটে থাকে; তার পথের আড়ালে শুধুই অপেক্ষা...
...
এদিকে সুনিপুণ শিল্পীর মতো ছবিতে কিছুটা দুর্বোধ্যতা আনার প্রয়াসে
লাউ, শিম আর বেগুনের পোকাগুলোকে ছেড়ে দেই ভালবাসার নতুন ঠিকানায়
তারা মনের সুখে খেতে থাকে গাছপালা, মাঠের জমি, নদীর তীর আর রাতের তারা
ছবি আঁকা শেষে; সেই প্রাচীন নগরের গন্ধ বুকে নিয়ে...
সেদিন আমি তাকিয়ে থাকি গরম ভাতের থালায়।
...
০৭/০১/২০১৬