না। আমার ইচ্ছা করেনা।
আমার ইচ্ছা করেনা ইচ্ছা হয়না ইচ্ছা আসেনা
ভালবাসাবাসি খেলতে।
ইচ্ছা করেনা তোমার সাথে পার্কে বসে
ঝালমুড়ি বাদাম চিবাতে।
ইচ্ছা করেনা ইন্টারনেট চ্যাটিংয়ে বসে
পিরিতের বুলি আওরাতে।
ইচ্ছা করেনা টেলিভিশনের চ্যনেলগুলাতে
আমাকে তোমাকে দেখাতে।
ইচ্ছা করেনা ফুটপাত থেকে ফুল কিনে এনে
পরাতে তোমার খোঁপাতে।
ইচ্ছা করেনা 'চিঠি লিখো আর চিঠি দিও' বলে
পিরিত রুটিনে জড়াতে।
ইচ্ছা করেনা বাঁশী কিনে এনে পূর্ণিমা রাতে
রাগিণীর সুরে কাঁদাতে।
ইচ্ছা করেনা জিলেটের ব্লেডে নিজ হাত কেটে
তোমারই নামটা দেখাতে।
ইচ্ছা করেনা তোমার নামের অক্ষর দিয়ে
আকাশে ঘুড়িটা ওড়াতে।
ইচ্ছা করেনা দামী কেক কিনে জন্মদিনটা
মোমের আলোতে সাজাতে।
ইচ্ছা করেনা মাণ্জা মারতে সেলুনে গিয়ে
সুপারহিরো হয়ে সাজতে।
ইচ্ছা করেনা ভুল বানানেও কবিতা লিখে
পত্রিকা অফিসে পাঠাতে।
ইচ্ছা করেনা হটপট ভরে লং-ড্রাইভে
ট্রাফিকজ্যামে বসে থাকতে।
ইচ্ছা করে।
তোমাকে আজীবন বন্দী করে রেখে
বস্ত্র হরণ করে একটানে
আমার বুকের শূন্যতাকে দূর করি
সুউন্নত পয়োধর নিষ্পেষণে।
আমার বুকে তোমার স্তনযূগলের
নিরন্তর দলন আর মর্দনে
জমে থাকা শূন্যতাটুকু দূর হবে
চরম ধৃষ্টতার বিস্ফোরণে ।
তোমার নি:শ্বাসের শব্দগুলো যেন
নিনাদধ্বনিতে বাজে কানে
পান করবো তোমার মুখের লালা
নিঙাড়ি জিহ্বা চোষণে।
ভদ্রলোক আমি নই, অসভ্য হিংস্রতায়
তোমাকে কাছে নেবো টেনে
গাল গ্রীবা কামড়ে রক্তিম করে
উন্মত্ত হবো প্রমত্ত চুম্বনে।
তোমার দুর্ধর্ষ রূপমাধুরী বিলীন হবে
আমার অঙ্গ অচলায়তনে
তুমি আর রবে না সেই তুমি
আমারই লোলুপ হিংস্র প্রয়োজনে।