মারিউপুলের কাছে এক প্রাচীন গাছ
মারিউপুলের কাছে এক প্রাচীন গাছ
এত ছেলে তার জীবনে কখনো দেখেনি
ফুল তুলছে, তাঁর ডালে নাচছে,
সবচেয়ে ছোট ছেলেটি উঠেছে
মগডালে।
আরপিজি, একটা মেশিন গান, স্নাইপার রাইফেল, হেলমেট, বুলেট-প্রুফ জামা
সব যত্ন করে সাজানো আছে।
ছেলেরা হাসছে, পরস্পরের কাঁধে চড়ে হাটছে,
মালবেরির রস সবার মুখে মাখা
কখনো উদ্দেশ্য নিয়ে- হলিউড
সিনেমার চরিত্রের মতো দেখাতে।
আরপিজি, একটা মেশিন গান, স্নাইপার রাইফেল, হেলমেট, বুলেট-প্রুফ জামা
সব যত্ন করে সাজানো আছে।
দিগন্তের ওপারে কয়েকটি মর্টারের
হাস্যকর আওয়াজ, “এক, দুই, তিন”, “এক”
যেন তরুণ প্রেমিক প্রেমিকার দেওয়ালে ধাক্কা দিচ্ছে।
এক ঝাঁক কাক আওয়াজ তুলে আকাশে উড়ে গেল
কিন্তু, হতে পারে কয়েকটি কাক নয়, হতে পারে
বিস্ফোরণের বিদারণে উড়ে যাওয়া মাটির দলা।
ছেলেরা প্রাচীন মালবেরি গাছটা ছেড়ে চলে গেল
ঘুরে ঘুরে নাচতে নাচতে তারা
পরিণত মানুষের চেহারা নিলো।
তারা নিজেদের অবস্থান নিতে চলে গেলো
দিগন্তের ওপারে, যেখানে পৃথিবী আকাশকে ডাকে
আর আকাশ কম্পিত হয়।
প্রাচীন মালবেরি গাছ
রাস্তার ধারে ছেলেদের জন্য অপেক্ষা করে
কিন্তু কেউ তার ফল তুলতে আসে না।
রক্তাক্ত অশ্রুর মতো তা মাটিতে পড়ে।
নীচে চেপে থাকা ঘাস
আরপিজি, একটা মেশিন গান, স্নাইপার রাইফেল, হেলমেট, বুলেট-প্রুফ জামা
সব সোজা হয়ে যায়।
আর যখন চাঁদ আকাশে ওঠে
প্রাচীন মালবেরি গাছ
এক বালিকার মত, পায়ের আঙুলের ডগায় দাঁড়ায়
দিগন্তের দিকে চোখ মেলতে চায়
কোথায় গেল, ছেলেরা?
বরিস হুমেনিউক।
[ইউক্রেনিয় কবি, লেখক এবং সাংবাদিক, ১৯৬৫ সালে জন্ম। ২০১৩ সালের বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। বর্তমানে ডনবাস অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবক সমন্বিত এক নিজস্ব সামরিক বাহিনী পরিচালনা করেন।]
অনুবাদকঃ
পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি।