নিরব কান্নায় ফেটে যাচ্ছে ছেলেটার বুকটা
ছেড়া জামা কাপড়ে হাঁটছে তাই পথটা ।
পৃথিবীর সব দুঃখ যেন তার মনে ,
কান্নার ঝরা জল জমে আছে দু চোখের কোণে ।
পেটের ক্ষুধায় খুঁজে বেড়ায় দুই একটি টাকা ,
সারাদিন কাটিয়ে দেয় ঘুরে সারা ঢাকা ।
এক হাতে পিঠার গাম্লা;জগ অন্য হাতে ,
পিঠা শুকনো মুখটা ভিজিয়ে দেয় তাতে ।
ক্ষণিক গিয়ে ডাক দিয়ে কয় এই চিতই পিঠা,
ক্রেতা তখন জিজ্ঞেস করে-কি এনেছ মরিচ নাকি মিঠা ।
কেউ ওকে আদর করে কেউ দেখায় ভয় ,
কেউ পিঠা চুরি করে- নেইনি নেইনি কয় ।
কি বুঝে ঐ পাঁচ বছরের অবুঝ ছেলে ,
কেঁদে কেঁদে বুকটা ভাসায় চোখের জল ফেলে ।
বুঝে নেয় তবু নিজের পাওনাটা ,
পাওনাটা পেয়েই বাড়ীর পথে দেয় হাটা ।
কোথায় ওদের বাড়ী কোথায় বসত করে ,
বয়ে যাওয়া রাস্তার ঠিক ঐ পরে ।
ঘরটি ওদের কুরে ঘরে ছাওয়া ।
বিদ্যুৎ পাখা লাগেনা বহে ডাণ্ডা হাওয়া ।
থাকে সেথা বাবা- মা –ইটের কর্ম করে,
রাত্রি হলে বানায় পিঠা; ভাঁজে মাটির পাত্রে করে ।
আগুন সেথা জলতে চায়না তবু জ্বালায় ফুঁয়ে ফুঁয়ে ,
চোখটি হল অন্ধকার কালো ধোঁয়া চোখে বয়ে ।

                     -সমাপ্ত-

সাহিত্য সংসদ সাভার, ঢাকা-১৩৪৪।
ই-মেইলঃ khmahabub@yahoo.com
তারিখঃ ১৫/০৪/২০০১ ইং ।