আমার কাছে দুটো একই কবিতা ,কোনটা ভাল হয়েছে?

নারী
আমাদের যুগল বলোনা
আমি তার থেকে জাত ,তার থেকে কিছু কম
সময়েরা ফিরে এলে বারবার
মিলন হয়েছে আমাদের;
তারপর ফিরে গেছে সে
পৃথিবীতে একা রেখে।

নারী
মাঝেমাঝে ভাবি পুরুষটা আমার কাছে কী চায়?
সমর্পণসুখের পরে;তার চোখে আত্মহত্যার ব্যাথা|

মাঝেমাঝে ভাবি পুরুষটা আমার কাছে কী চায়?
আমার আর দেবারই বা কী আছে?
বুনো ঘোড়ার মত অস্থির|হৃদয়ে বন্ধনহীন নৃত্য করে তবু|
কিন্ত আর কীইবা করার আছে?
এর বেশি পারে কি নারী?

মাঝেমাঝে ভাবি সে কী চায়
যুগলবন্দী অভিসারে শ্বাসে কত কথাই তো হয়ে যেত
তবু যেন এখনও নেই তার সলীলে সমাধি
নারী যেন গভীর দিঘী অবগাহনসম
পিপাসা কই তার আজো মেটে নাই।

শরীর সুখ পায় যত ,গভীরে মন তার তত নত
মুখ দেখে মনে হয় প্রতিবার ভেঙেছে ব্রত
অস্তিত্বের অংশকে ঠিক ততবার খুন করে।

তাই মাঝেমাঝে ভাবি ,কী চায় পুরুষ?
অতিরিক্ত?
রমণীর মনের চেয়ে দূর্লভ অপার্থিব?

ভাষা হয়ে
ছায়া হয়ে
খেলা কোরে
শেষে আগুন নিভে গেলে চলে যায়
যেন এটুকুই ছিল তার পার্থিব দায়।

বিধাতা প্রেম দিয়ে ,সৌন্দর্য আর কামনা ভূষণে পাঠালেন পৃথিবীতে ,
বললেন ভালবাসো।
তাইতো তাকে পাওয়া ,পেয়ে
তবু মাঝেমাঝে ভাবি যখন পুরুষটা কি চায়
সুখ পরিবার নিয়মের প্রতিপালন?
কিন্তু সেতো নিয়তো বিদ্রোহ মশাল
কায়োমনে উদাসীন ধরে আছে
নিরাসক্ত ত্রিশাল|

তবে কি সে শান্তি চায় সন্তের?
এই সত্য নারী কীভাবে মানে
তাকে যেতে দেব না ,তাকে যেতে দেবনা
           প্রাত্যহিক চাল ডাল আটা নুন পেয়াজে তাকে চাই।
এলোমেলো বিকেলে বাহুডোরে তাকে চাই
লতার মত ঘিরে রাখবো

আর কিছু আসে যায় না যে যাই ভাবুক
তাতে সৃষ্টির ক্ষতি হয়ে যাক
কেয়ামত পিছিয়ে যাক

এমন পিছিয়েছি ধ্বংস কতবার |