আজও জীবনের ফরম্যাট খুঁজে পেলাম না । জলকাদা জীবনের নশ্বর ছাপ নাকি একশ কুড়িটা নকশার কোন একটিতে অনায়াসে ফেলে দেয়া যায় । জীবন,মৃত্যু,দুঃখ,আনন্দ ,বিরহ,প্রেম……
ভুল রে ,সব ভুল।

প্রাণ যদি অসীমের ধারায় ধাবিত হয়;তার সাধারন গতিপথ থাকে?সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মেঘের সাথে আকাশের ভালবাসা কত প্রতিরূপ রেখেছে শূন্যতায়?
সুন্দর কত ছাপ রেখেছে জীবনের দৃষ্টিতে!
সেখানেই তো অসীম।সেখানেই সর্বোত্তম আকার,হয়তো অসীমের অবস্থিতি।
কিংবা কে জানে এরকম
হয়তো অবস্থিতি নাই,শুধু অনুভব।

এই অনুভবেই যত জ্বালা ।যতকাল চিত্ত ততদিন চিত্র ।সসীম জগতে বিচরণ শুরু তীব্র কষ্টে;নির্বাণ তার আরেক তীব্র পরিনতি ।অসীমের পানে এই যাত্রার স্বরূপ জাগতিক জগতে জানা যাবে না ।
এই এক একটি পৃথক গতিময় জীবন আসলে একেকটি মাত্রা ।সসীমে যাদের স্পর্শ অসীমে তাদের গন্তব্য ।
ধরা যাক ,জাগতিক একটি ফুল জীবনের সাথে উপমিত হল।পৃথক পৃথক চিত্র তার অংকিত হবে প্রত্যেক হৃদয়ে।সবচিত্রের সাধারন প্রতিমূর্তি হয়তো একটি নাম-'গোলাপ'।কিন্তু প্রতিটি গোলাপ কখনও হুবহু এক নয়।এখানেই সমমাত্রার পৃথিবীতে বহুমাত্রিক মানবজীবন।

যেদিন সকল গোলাপ গন্ধ দিবে,আকারের মাত্রা ঝরে যাবে
যেদিন গন্ধও থাকবে না,সকল চিত্রপট মুছে যাবে।পৃথিবীর বহুমাত্রা ভেঙে একটি আকার ,একটি ছন্দ জাগবে।
একটি ফুল ফুটবে একইরকম।
সমস্বরে একস্বর বলবে ,"ঠিক এইরকমই তো।এমনই ছিল, আছে।"
সেদিন অসীমে জীবন পাবে অর্থ।কিন্তু,একা !
সবাইকে নিয়ে একা।
কিংবা সবাই একা একা