অভিমন্যুর চক্রভেদ
যুদ্ধে যুদ্ধে কেটে গেল জীবন এতটুকু
আমি যে মন্ত্র জননীর গর্ভ হতে করেছি লালন
কোন অভিশাপে?কোন সে দায়ে?
আমার বিষম বোঝা যদি মৃত্যু হয়;আপত্তি আছে
মৃত্যু হয় যদি স্বাভাবিক ভবিতব্য
হে অভিমন্যু
চক্র ভাঙিব আজ
দেখ মোর রণসাজ
পলকে আজিকে বুহ্যের দুয়ারে;তার অন্তরে
সৌদামিনীর তেজে ;চিরিয়া ফেলিব
পুরাতন বালক বীরের মতো।
আমার রক্ত ,আমার প্রতিশোধ
অর্জুন-কর্ণ পিতৃব্য হায়
তবু তাহাদের রণে কী আসে যায়
বালকের কথা কে তখন জানবে?
আমি জন্মেছি অভিশাপ বীজমন্ত্রে;
ভেদ করেছি;করব;কিছু যা নাই বা
কিছু যা রয়ে যায়।
এক অভিশাপ
সুতীব্র জন্ম মন্ত্র
শুধু জানি যেতে হবে,
অপত্য চিহ্নও রইবে না বাস্তব ধরাধামে
রমণীর প্রেম যেন বালকের পূর্বজন্ম হতে আসে
নাকি প্রেমহীন ভাগ্য চক্রখেলা?
অভিমন্যুর চক্রভেদ (দ্বিতীয় )
অপত্য চিহ্নমাত্র রইল না চক্রধারী
মহারথী মাঝে শব ব্যবচ্ছেদে শকুন
জানেনা পিতার দৈবিক অস্ত্রঝঙ্কারি
প্রলয় আসবে না তোমার বুদ্ধি ধরি ।
তাই যতটুকু থাকে দেহে খুবলে
খুবলে এক ষোড়শের নিশ্চিহ্নমাত্র
মানবিক মৃত্যু হয় ;ক্ষত্রিয়ের দায়ে ।
চক্রধারী; আমার মৃত্যু চক্রবুহ্য ভেদে
নয়; নবীনের তেজে নয়;একার সমরে নয়
মৃত্যু আমার জন্মের সাথেই লেখা; বাস্তব
পার্থিব নিয়তি যেন তাই বীরেন্দ্র ব্যবচ্ছেদ ।
পরদিন প্রাতে পরশু ঝঙ্কারে প্রতিশোধ!
পিতার অন্ধ ক্ষত্রিয় বিষম তেজ প্রতিশোধ!
তোমার চক্র; তোমার সৃষ্টি; তুমি স্রষ্টা
কাল গত হলে
এক বালকের কথা কে তখন কেন জানবে?