পৃথিবীতে আর কোন রঙ
নাই অবশেষ
জোনাকি দূর থেকে দেখি
নির্জন রাত্রি নক্ষত্রের মত
তারা আকাশের যেন সন্দেশ।
ডানায় রঙ মেখে পরী কোন
যারে চিনি নাই
ছেড়ে গেছে চারিপাশ ;চলে গেছে মুছে
হৃদয়ের মানচিত্র দেশ।
অচেনা পাখির ডাকে আরো দূর কুয়াশায়
মানুষ তবু আমি ;যাই
ছিন্ন ছড়ানো পালক জমাই।
যতদিন ছিলো
ছিলো পৃথিবীর সব সুধা নিয়ে
মহাশূন্যে তাকে খুজিঁ আজ
নিয়ে গেছে সভ্যতা রাজত্ব নাগরিক সাজ।
দূরে থেকে তবু একদিন
মনে হয় চুলে তার এসেছিলো মোর ঘুম
ঠোঁট চোখ বুক তার ছিলো অবিকল
মানুষীর সে মন বুঝি পায়নি কেহ ;
চোখ পেলে আরও বেশি মিশে গেলে দেহ।
পাজরের নিচে চিরকাল ঘুমন্ত নিঝুম
পাইনি চাইনি সেইসব অতল সকল।
মানুষ কতটা আর মানুষীরে পারে দিতে
একে গেলে কত ছবি, ধরা দেয় কোন মানবী?
মাটির দেহে ধূসর স্বর্গ এসে ঘনিয়ে
পানসে তবু শীতল এই সরোবর জল।
স্বপ্ন কিছু যেন কোন অতীতের
অনাগতের আর এখনের ভোর ;
রেখে গেছে কিছু আলো কিছু ছায়ার ভেতর।
পরী তবু সে যে ছিলো নারী!
বলেছিলো অবাক ভাষায়
পূর্নিমায় চলে আসা মগ্ন বন
শুক আর সারী।
কালের চক্র আর
একটি হৃদয় ফাঁকি দিয়ে
মেঘ থেকে আরও দূর ভূবনে
পাতাল অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।