এখনও বাঁচি–বেঁচে থাকার মতো নয়
সূর্যের পরমাণু হয়ে গেছে ক্ষয়!
ফুরিয়ে এসেছে আকাশের সব লেনদেন;
জলে ভেজা কালো মেঘ—
এই বুঝি বয়ে আনল কালবৈশাখীর ঝড়।
বেঁচে যায় আবারও
বেঁচে থাকার ভেতর আছে নাকি আনন্দ
সংশয় মন খুঁজে যায় অবিরাম তার উত্তর
আর কতদিন পরাস্ত জীবন?
শিশু থেকে যৌবন, সেই ঢেউ ভেঙেছে শরীরের'পর
হয়েছি পরাজয় আমি বার বার
মানুষের সমুদ্রে ভেসেছিলাম ময়লার স্তূপ হয়ে কিছুকাল
জীর্ণ জনপথ দিয়েছে শুধু লাঞ্চনা।
সোনার শস্যের ক্ষেত ভরে আছে কলকারখানায়
কৃষাণের হাত ছোঁয় কংক্রিট দেয়াল।
মৃত নদীর বুকে জেগে থাকে মুমূর্ষু কচুরিপানা
মৃত মাছের কাটা খায়–অতৃপ্ত কাক।
সমুদ্রের রক্ত পায় না খুঁজে তার নালিপথ
সেও একদিন মরে যাবে শিরা-উপশিরার মতো।
এসবের উত্তর জানে না কেউ, সকলে পরজীবী আমরা
বেঁচে থাকি শুধু–বেঁচে না থাকারই মতন!