তাম্রপুত্র/খাতুনে জান্নাত
....................
তোর ক্লান্তচোখ থেকে নেমে পড়ুক ঘাম, আঁচল বিছিয়ে ধরে স্নিগ্ধতা। হাত ধোয়াবো বৈঠক ঘরের সাঁঝবাতির মিহি আদর। লক্ষীসোনা চাঁদের কণা- বলে গাইবো পাইন বনের উড়ু-ঘাস-খড়। তুই কি ভাবিস, রূপকথার বেনোজলে নাইবার কথা?
কাকচোখের স্নেহ যেন অদৃশ্যমায়া। বাদলা ভোরে পদ্ম ফুলের স্ফটিক হাসি যেমন হেসে থাকে তেমন কলকলিয়ে উড়ে বেড়ানো হাসিখুশি ছোঁয়া ধাবমান ঘোড়ার অলক্ষ্যে। সোনার নাও পবনের বৈঠা বেয়ে আসা হনকাস বরণ কন্যা বেড়ে দি বেলী-ফুলের আতপ ঘ্রাণ আর মৌরলা স্বাদ। বনের শিরা খুলে বনকন্যার কুড়নো পাঁচমিশেলী ভাপ আর চোখের আলোর লবনে মেখে নিস- হে তাম্রপুত্র, আঙুলের সরু বিন্যাস...