বৈশাখে হোক পালা পরবের গীত।
মাটি-রাস্তা ভেঙে ভেঙে মেলার বাঁশি-
নাড়ু বাতাশা কাটাল কেনার ধুম।
আনন্দ-আহবানে
ধানভাঙা গানে
মা-ভাবী-বোনের পায়ে ঢেঁকি নাচুক;
সোনলি তুষের ফাঁকে
দুলকে দুলকে আতপ চালের রূপালি ঝিলিক;
মৌ মৌ পিঠা-পায়েশের সুবাসে উজাড়
বাঙালির বর্ষবরণ।
পহেলা বৈশাখে ধর নদীর সংগীত।
দু‘ধারে সবুজ-ছোঁয়া কাকচক্ষু জলে-
ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ ছড়িয়ে তরী-
সাথী তার বাঁশ ঝাড়ের কোলে
মৌমাছির চাকবাঁধা রোদেলা দুপুর।

পহেলা বৈশাখে শোনাও বাতাসের গান।
শুকনো পাতার নূপুরধ্রবনি মাখা
তেপান্তর মাঠে একাকী বধুর বিরহি চাহনী
পেয়ে যাক বাঞ্চিতের দীপ্ত দিপালয়।
উঠতি মননে অজানাকে জয় করবার
ঝড়ো তোলপাড়, ঝড়ো তোলপাড়।
পহেলা বৈশাখে শোনাও সে হৃদয়ের গাঁথা
ধরতে পারি না সুরে, আাঁকতে পারি না রেখায়
কত কি যে বলে যায়
ভাসিয়ে নিয়ে যায়,
ভরে দিতে আসে কানায় কানায়!