নির্জন রাতের কথা
খাতুনে জান্নাত
.......
এ নিস্তব্ধ রাতে
কী যে হতে পারে লেখার বিষয়!
ভেবে ভেবে কত যে নক্সাঙ্কন,
বিচিত্র অক্ষর আদল।
চিত্রকর বিমূর্ত কোনো ছবি পেয়ে যেত হয়তোবা...
আমার কলম খোঁজে- অক্ষর ধ্বনির সুর,
দিবসের সুর,
অর্ধ দিনের সুর,
রাত্রির সুর, নিসর্গের নিমগ্ন সুর,
শিশুর বোল ও ভঙ্গি,
প্রেমীর সঞ্চিত সুর,
সঙ্গীর সুরবার্তা।
শুধু সুর খোঁজে,
আনন্দের স্রোত খোঁজে
মোহনার মতো সুরের আবর্তন...
বেদনা খুঁজতে হয় না।
আপনি চেপে থাকে
নিঃশ্বাসের ভারে স্নায়ু সঞ্চালনে টান
মড়মড়ে ওঠে পার্থীবতা
তিলেতিল সাজানো গোছানো যা-কিছু
সজল সুস্থির...
ঝুলে থাকে কষ্টের কঠিনতায়
চলতি অসম বিভাজন
পোষমানা বিভাজন
অনিদ্রায় ঘাই মারে
উচ-উচু ঠোকাঠুকি
উচু-নীচু কারসাজি
যুদ্ধের নিক্ষীপ্ত দামামা
দমনের হিংস্রতম কৌশল প্রযুক্তি
গোলকধাঁধা অবতরণ বিপদগামী পথে
পাশবিকতার উল্লাশে কাতর শিশু নারীর শরীর
এইসব এতকিছু
প্রকৃতির হাতে সহজেই সমর্পিত
সব ছেড়ে
অন্যজীবন তালাশে
জীবন লাগাম এগুবার দায়ে
এসবকি শূন্য নয়!
শূন্যে শুন্যে কাটাকাটি
শূন্যে ঘাটাঘাটি ;
তারচেয়ে ভালো
টুকরো টুকরো আলো
দেয় কালে কালে
আবেগ দুয়ার খুলে নান্দনিক স্মৃতির খোরাক
(যে কুঁচকে রাখে তার কথা থাক
ফনি মনসার কঁাটায়,
কঠিন শিলালিপির প্রস্তর ফলকে)
কলম তুলুক ভরে সেসব নিরিবিলি দিন
বোঝেনি যে জীবনের বুকে এত শোরগোল
মিষ্টি মিষ্টি আবদারের দিন
উড়ে উড়ে বেড়াবার দিন
প্রকৃতির দিন সেঁচে তুলে আনা পূর্ণিমায়
বয়ে চলা সামনের দিনে যতদিন চলা যায়
একা একা অথবা একত্রে
জীবনের জল ঘোলা করে...