লুটানো জীবন গাথা
খাতুনে জান্নাত
...
বছর ঘুরতেই সাগর-রাক্ষস ফুঁসে ওঠে
তছনছ চরের নরম ঘর, শিশুর কলহাট-
ডুবে যায় নোনা জলাধারে
দুঃখময় জীবনের অবশিষ্ট পাঠ...
খেইনের পেত্নী হয়ে নানা নাম ধরে-
খায় রবি ও ফসল, সোনালি চিংড়ি ঘের, মাছের মাচাং
সর্বস্বান্ত পিতার আর্তনাদে দখিনা বাতাস...
শুকোতে দেয়া মাছের সারির তেমাথায়
জননী নির্ভার
ভিটিতে ঘর নেই, কোলে সন্তান নেই
বানিজ্যের বেসাতি করে কার-জন্য রাখবে তুলে
তিলের নাড়ু দুধের সর, পাটিসাপ্টা বাটি
মাছ ভাজার সুগন্ধী সন্ধ্যাকাল...
পিতা মাতা হারা শিশুটির নির্বাক চেয়ে থাকা-
সাথে থাকে দায়ভার জীবন ভগ্নের;
সারি সারি শব যেন অভিযোগে
এই শূন্যতায় অহেতুক বাঁচার কারণ!
ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে শিশু
কেন এঁরা শুয়ে আছে অবেলায়
কাজের হুল্লোড় নেই, জালের বুনন নেই
পেটে মোচড় মারে ভুখের দরিয়া
বাড়ায় শীর্ণ দুটো হাত
কার কাছে পায় আজ এক নলা ভাত!!
.