কবিকে পড়তে যেও না
পাবে পোড়া ছাই ও ভগ্নতার শিলালিপি
রুগ্নতায় গলে পড়া অস্থি ও অস্তিত্বের গুড়োবালি
আঙুলে দগদগে ঘা
ঝাপসা হয়ে আসা চশমার কাচে
জংধরা চোখ...
সামাজিক বেড়ি ও বদনাম
স্বামী-স্ত্রীর ধমকে মুখ থুবড়ে পড়া ঝর্ণা কলম...
রাম দা, চাপাতির কোপে ফিনকি দিয়ে ছোটা থকথকে রক্তের জমিন
রাজা ও রাজ্যের নিষ্পেষণে পথ হারানো বিচ্ছিন্ন দিকভাল...
কবিকে পড়তে যেও না
পূর্বজনের ব্যথার বোঝা কাঁধে
ধনুকের মতো বেঁকে গেছে পিঠ শিকারির ভার বয়ে বয়ে...
প্রত্যাশিত ভোরের অপেক্ষা করতে করতে কবির পায়ে শিকড় গজিয়েছে
পাখিরা বৃক্ষ মনে করে বাসা বাঁধে, বিষ্ঠা ত্যাগ করে...
কবি তো মূহ্যমান ধর্ষিতার কাতর চিৎকার
তার হৃদয় একখণ্ড সাহারা
আর জলন্ত আগ্নেয়গিরি
'বাঁচো বাঁচো, বাঁচাও বাঁচাও'...
তারচেয়ে কবিতায় যাও
পাবে কিছু ক্ষুদকুড়ো, ফলবান বৃক্ষ,
কৃষকের জন্য কাদামাখা বীজতলা
খনন করা নদীর প্রবাহ
শিশু ও ফুলের মায়া
মিছিলের ঐকতান-
মানবতার হাতে হাত ধরা
মানুষের মরমিয়া গান...